ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর : গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর অনুপস্থিতিতে বোলপুরে তৃণমূল দপ্তরে সভাপতির চেয়ার ফাঁকা রেখেই বিশেষ বৈঠকে বসলেন তৃণমূলের বিধায়ক-সহ দলের নেতারা ৷ বীরভূম জেলার তৃণমূলের ১০বিধায়ক ছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের দায়িত্বে থাকা বর্ধমানের আউসগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং কেতুগ্রামের বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। কেমনভাবে দলের সাংগঠনিক কাজ চলবে, কারা কোন দায়িত্বে থাকবেন এবং আগামী কর্মসূচি কী হবে, সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, সাংসদ অসিত মাল, অভিজিৎ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি-সহ অন্যরা। প্রায় দু’ঘণ্টা বৈঠক চলার পর বৈঠক শেষে তৃণমূলের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলায় দলের কাজকর্ম যেমন চলছিল, সেই ভাবেই চলবে। ১৫ আগস্ট পতকা তোলার পাশাপাশি ১৬ আগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালিত হবে। সংগঠনের কাজ স্বাভাবিকভাবে চলবে।” নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি ও মঙ্গলকোটের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল নেই। তাই আমরা বিধায়করা ঠিক করেছি বৈঠক করার৷ সেইমতো এদিন বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘কাউকে বাঁচাতে গরিব বলেই ফাঁসি’, ১৮ বছর পরও ক্ষোভে ফুঁসছেন ধনঞ্জয়ের দাদা]
এদিকে বিরোধীদের গাঁজা এবং ডাকাতির মামলা দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফের বিতর্ক উসকে দিলেন নানুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক গদাধর হাজরা। শনিবার নানুরে এক পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গদাধর বলেন, “বিজেপি, সিপিএমের নেতারা ভাবছেন ‘চড়াম চড়াম’, ‘নকুলদানা’ দিয়ে মানুষের মন জয় করবেন। অত সহজ নয়। ক্ষমতায় আসতে হলে আগে গাঁজার কেস, ডাকাতির কেস খান। তার পরে ক্ষমতায় আসবেন।”
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার, দুর্গাপুজোর ট্যাবলো প্রদর্শন]
তৃণমূল নেতার এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চূড়ান্ত বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এমনকী তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব গদাধরের এই মন্তব্যে অখুশি। পরে গদাধর সাফাই দেন, “দল করতে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। তাই সেই কথায় আমি বলতে চেয়েছি।”