সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা ছিলই। তাতেই সিলমোহর পড়ল। রবিবার সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’brien) টুইট করে জানিয়ে দিলেন, রবিবারের অনুষ্ঠানে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না।
বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান সংসদের নতুন ভবন উদ্বোধন। অথচ সেখানে ব্রাত্য সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের অধিকারী রাষ্ট্রপতি। যিনি আবার সংসদের অভিভাবক বা সর্বময় কর্তাও। কেন রাষ্ট্রপতিকে বাদ দিয়ে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী? সে প্রশ্ন আগেই উঠেছিল। সেটাকে আরও জোরাল করে এবার মোদির (Narendra Modi) এই ‘আমিত্বে’ ভরা অনুষ্ঠানকে বয়কট করার বার্তা দিল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: তরুণীর মৃত্যুর পর ফের মর্মান্তিক পরিণতি! বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির জমা জলে প্রাণ গেল যুবকের]
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন টুইট করে বললেন,”নতুন সংসদ ভবন শুধুই একটা ভবন নয়। এটা পুরনো রীতিনীতি, নিয়ম এবং ঐতিহ্য বজায় রাখার প্রতিষ্ঠান। এটা ভারতের গণতন্ত্রের ভিত্তি। আর এটা প্রধানমন্ত্রী নিজের একার জন্য পান না। কিন্তু রবিবার নতুন যে সংসদ ভবনের উদ্বোধন হবে সেটা পুরোটাই আমি, আমার এবং আমার জন্য (পড়ুন, মোদি, মোদির এবং মোদির জন্য)। তাই এটা থেকে আমাদের বাদ দিন।” শোনা যাচ্ছে, শুধু তৃণমূল নয়, অন্য বিরোধী দলগুলিও এই অনুষ্ঠান বয়কট করতে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিই ভারতের সবচেয়ে দৃশ্যমান নেতা’, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নোবেলজয়ী]
প্রধানমন্ত্রী নন, পদমর্যাদা অনুযায়ী নব সংসদ ভবনের উদ্বোধন করার অধিকারী রাষ্ট্রপতি। রবিবারই দাবি তুলেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এরপর একে একে সেই সুরে বক্তব্য রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস, বাম-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিরোধীদের এই বক্তব্য যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। ভারতীয় সংবিধানের ৭৯ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে দেশের সংসদ গঠিত হয়েছে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যসভা এবং লোকসভা নিয়ে। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদের শীর্ষাসনে, তাই নয়া ভবন উদ্বোধন হওয়া উচিত তাঁর হাতেই। সেই দাবিকে সমর্থন করে কংগ্রেস এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সার্বিকভাবে এই অনুষ্ঠান বয়কট করা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। তৃণমূল আগেই নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল।