মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বিজেপির (BJP) ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের শংকরহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত। অভিযোগ, শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কর্মসূচির প্রস্তুতি চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। লাঠি এবং রড দিয়ে মারধর করা হয় তাঁদের। এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের ১০ জন জখম হয়েছেন। এক নেতার মাথাও ফেটে গিয়েছে। প্রতিবাদে বিজেপির পক্ষ থেকে আমতা-হাওড়া রোডের বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ করা হয়। জগৎবল্লভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি নস্যাৎ করেছে তৃণমূল। পুরো ঘটনাটিকে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দেখছে ঘাসফুল শিবির।
বিজেপি সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাট ম্যাটাডোর স্ট্যান্ডে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচি উপলক্ষে এক পথসভার আয়োজন করে বিজেপি। সভার প্রস্তুতি চলছিল। সেই সময় মাত্র পনেরো-কুড়িজন বিজেপি কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সেখানে আসেন। উপস্থিত ছিলেন শংকরহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত্রা পণ্ডিত, শংকরহাটি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বরকত ও উপপ্রধান তপন চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁদের উপস্থিতিতে বিজেপির উপর রড, লাঠি নিয়ে হামলা শুরু হয়। এছাড়া বিজেপির অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা স্টেজে ভাঙচুর চালানো হয়। খুলে দেওয়া হয় মাইক এবং দলীয় পতাকা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকা ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সুমিত রায় নামে এক বিজেপি নেতা গুরুতর জখম হন। তাঁর মাথা ফেটে যায়। ওই বিজেপি নেতা-সহ আহতরা প্রত্যেকেই জগৎবল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি।
[আরও পড়ুন: এই প্রথম মুর্শিদাবাদ থেকে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ছাড়ছে বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেন]
জগৎবল্লভপুর দু’নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সমরেন্দ্রনাথ কাঁড়ার বলেন, “তৃণমূল আমাদের অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করেছে। আমাদের প্রায় জনাদশেক কর্মী জখম হয়েছেন। আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বড়গাছিয়ার হাঁটাল, মাজু, ডোমজুড় বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন এলাকায় আমতা-হাওড়া রোড অবরোধ করেন। তৃণমূলের (TMC) জগৎবল্লভপুর ব্লক সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, “এই এলাকা তৃণমূলের দখলে রয়েছে। বিজেপির অল্প কয়েকজন কর্মী-সমর্থক রয়েছেন এখানে। তাই তাঁদের উপর আক্রমণ করার কোনও প্রয়োজন নেই। এটা বিজেপির আদি ও নব্য সংঘাতের ফল।” হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।