জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এসে মৃত্যু দলীয় কর্মীর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ যায় তাঁর। যদিও বিজেপির অভিযোগ, বনগাঁ লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী পছন্দ হয়নি কর্মীর। তা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বচসাও হয়েছিল ওই প্রৌঢ়ের। তার জেরেই মৃত্যু কি না তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
তৃণমূল কর্মীর নাম সমীর রায়(৫৫)। বাগদার রণঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়কতলা এলাকার বাসিন্দা। সমীরের স্ত্রী বুলবুল রায় ২০১৩ সালে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সমীরের।
[আরও পড়ুন: দুধ সাপ্লায়ার থেকে প্রোমোটার! রকেট গতিতে উত্থান গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত ওয়াসিমের]
তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, সোমবার বনগাঁ নিউ মার্কেটে বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ,অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস-সহ অন্যান্য নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সম্মেলন চলাকালীন হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন সমীরবাবু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি। মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল আসে বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস-সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “সমীরবাবুর হৃদরোগ আক্রান্ত মৃত্যুর ঘটনা আমাদের কাছে কষ্টের বেদনার। উনি আমাদের দলের খুব ভালো কর্মী ছিলেন।” যদিও এই মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত চেয়েছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। বলেন, “এই মৃত্যু নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আমি যতদূর শুনেছি লোকসভার প্রার্থী কে নিয়ে বিরোধিতা করেছিলো। সেখানে বচসাও হয়েছে।”