চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: ৩৮ ঘণ্টার চেষ্টায় পুকুর থেকে একটি ফোন উদ্ধার হলেও এখনও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আরেকটি ফোনের হদিশ মেলেনি। এবার তৃণমূল বিধায়কের ফোন খুঁজতে পুকুরে নামানো হল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও কর্মী-সমর্থকদের। মোবাইল খুঁজতে নাজেহাল দশা।
শুক্রবার সন্ধেয় জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন নিজের ফোন বাড়ির পিছনের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তারপরই শুরু হয় তল্লাশি। ছেঁচে ফেলা হয় পুকুরের জল। কাদার ভিতর থেকে রবিবার ভোর রাতে উদ্ধার হয় বিধায়কের একটি মোবাইল। অপরটি এখনও হদিশ মেলেনি। রবিবার দুপুরে অপর মোবাইলের খোঁজে সিবিআইয়ের নির্দেশে পুকুরে নামলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাধন প্রমাণিক ও তৃণমূল কর্মীরা। এতেই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের নেতাকে বিনা কারণে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে’, ফের অনুব্রতর হয়ে সওয়াল ফিরহাদের]
বড়ঞা ব্লকের সাবলদহ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সাধন প্রামানিক। রবিবার তাঁর নেতৃত্বে প্রায় ১০ জন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থক বিধায়কের দ্বিতীয় ফোনের তল্লাশির জন্য পুকুরে নামেন। অঞ্চল সভাপতির দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপরই তিনি বিধায়কের দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটি খুঁজে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি হয়েও শাসকদলের বিধায়কের এই মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে ও গ্রামবাসীদের মধ্যে উঠছে নানা প্রশ্ন।