রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। প্রথমে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তা হাতাহাতির রূপ নেয়। তাতেই জখম হন অন্তত চারজন। এরপর ভূপতিনগর থানা ঘেরাও করতে যায় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীদের মিছিল আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। থানার সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরের সুশীলা মোড়ে বিজেপির কর্মসূচি ছিল। তাতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সে কারণে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দেখে স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। পালটা স্লোগান দেয় বিজেপি। ক্রমশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। দু’পক্ষের বচসা বেঁধে যায়। মুহূর্তে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। সেই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: প্রথমদিন জেলের খাবার খেলেন না সিধু, ঘুমোতে হচ্ছে সিমেন্টের বিছানায়]
এরপর বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ভূপতিনগর থানা ঘেরাওয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। মাঝপথে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আরও একবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভূপতিনগর থানা সংলগ্ন এলাকা। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ভগবানপুর বিধানসভায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে। বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের।
এদিন বিক্ষোভ সভাস্থল থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভূপতিনগর থানার ওসি অত্যাচার করছেন। আদালতের রায়ের পরও লজ্জা নেই তৃণমূলের। বিরোধীদের কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। বারবার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। দরকারে ফের আইন অমান্য কর্মসূচি করতে হবে।” পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “কোনও বাধার কাছেই নতিস্বীকার নয়।” একই সঙ্গে বিজেপির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কর্মসূচি মিছিল তিনি পুনরায় শুরু করতে বলেন।