অর্ক দে, বর্ধমান: দেবের পর বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী শর্মিলা সরকারের প্রচারে অশান্তি! লোকসভা ভোটপ্রচারের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়াল মেমারির বিধায়ক এবং তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। শনিবার সকালে এই ঘটনার জেরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় বর্ধমানের মেমারি এলাকায়। অশান্তির জেরে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
এদিন মেমারি বিধানসভায় প্রচার ছিল বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারের। সেখানে দিনভর প্রচার কর্মসূচি ছিল তাঁর। এদিন সকালে প্রার্থী গন্তার এলাকায় পৌঁছে যান। সেখানে চণ্ডি মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরুর কথা ছিল তাঁর। মন্দিরে ছিলেন মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য-সহ তাঁর অনুগামীরা। মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরাও সেখানে ছিলেন। জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝিও উপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে লড়বেন মহম্মদ সেলিম, দেখে নিন সিপিএমের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা]
মধুসূদন না নিত্যানন্দের অনুগামীরা, কে প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে বেরবেন তা নিয়ে অশান্তি বাঁধে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বিধায়কের উপস্থিতিতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু পক্ষ। বেশ কিছুক্ষণ অশান্তির পর খানিকক্ষণের জন্য প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত বিধায়কের নির্দেশে তাঁর অনুগামীরা প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে বের হন।
ঘটনা প্রসঙ্গে নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারের জন্য আমরা গেছিলাম। বিধায়কের অনুগামীরা আমাদের বাধা দেয়। আমরা নিজেদের লোকেদের চলে আসতে বলি।” এদিকে তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার বলেন, “নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বড় কিছু নয়। সারাদিন প্রচারের যা কর্মসূচি রয়েছে সেরকমভাবে প্রচার চলেছে।” উল্লেখ্য, প্রচার কাজ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলেও তা আবার শুরু হয়ে যায়। পরিকল্পনা মতোই প্রচার চলে দিনভর।