ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের লড়াইয়ে তিনি ছিলেন ঘাসফুল শিবিরের স্ট্রাইকার। তাঁর উপর চোখ বন্ধ করে আস্থা রেখেছিলেন দলের কোচ কাম ক্যাপ্টেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূল প্রাক্তন যুব তথা অধুনা কেন্দ্রীয় সম্পাদক সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC leader Abhishek Banerjee)। দলনেত্রীর পাশাপাশি রক্ষণে দাঁড়িয়ে বিপক্ষের ঝাঁজালো আক্রমণ সামলেছেন তিনিও। ফলস্বরূপ বিরাট ব্যবধানে বিপক্ষকে পরাস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদ দখল করেছে তৃণমূল। এবার অভিষেকের সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে গান বাঁধল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। যেখানে অভিষেককে ‘বাংলার যুবরাজ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। গানের ছত্রে ছত্রে তুলে ধরা হয়েছে তাঁর লড়াইকে। বাংলার মানুষ তাঁর উপর কতটা আস্থা রাখে, তাও প্রকাশ করা হয়েছে গানের কথায়। লেখা হয়েছে, “গরিবের ভগবান, নারীদের সম্মান তোমার সাথে জড়িয়ে/বিপদের দিনে পেয়েছি তোমায় পাশে, দিয়েছ দুহাত বাড়িয়ে।” তাঁকে ‘সবুজ সেনাপতি’ বলেও সম্মান জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: খেলার সময় শ্বাসনালীতে পেরেক আটকে বিপত্তি! খুদের প্রাণ বাঁচাল SSKM]
একুশের লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিয়েছিল দেবাংশু ভট্টাচার্যের খেলা হবে গান। গোটা রাজ্যে ভোটের স্লোগান হয়ে দাঁড়ায় ‘খেলা হবে’। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী, সকলের মুখেই শোনা গিয়েছ এই স্লোগান। এখন তো কার্যত গোটা দেশে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। এবার সেই একইরকম গানে গানে অভিষেকের লড়াইকে তুলে ধরল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। গানটি গেয়েছেন কেশব দে। সুরও দিয়েছিলেন তিনি। আর গানের কথা লিখেছেন বাদল পাল। কিন্তু হঠাৎ ভোটের মাস দুয়েক পর কেন এমন গান বাঁধল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ?
গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য লেখেন, “আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন দু’জন। একজন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, আরেকজন ছাত্রযুবর কাছে জনপ্রিয় যুবনেতা অভিষেক ব্যানার্জি। ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ, অভিষেক ব্যানার্জির পরিবারকে অবধি অনৈতিক নিশানা, প্রতিটি ভাষণে একজন যুবনেতাকে নিয়ম করে হুমকি দেওয়া, সবই ব্যর্থ করেছেন বাংলার সাড়ে আট কোটি জনতা জনার্দন। অভিষেক ব্যানার্জি প্রমাণ করেছেন, বাংলার রক্তে আজও মিশে আছে সুভাষের তরুণের স্বপ্ন। আজও বাংলার যুবসমাজ স্বামীজীর পথেই হাঁটে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “৮০ বছর পর, বাংলার পলিমাটি থেকে আবার আমাদের তরুণ দাদা আওয়াজ তুলেছেন – “দিল্লী চলো”। আমাদের প্রিয় দাদার দেখানো পথই আমাদের আগামীর মাইলস্টোন। ওরা যতোই কুৎসা করুক, অভিষেক ব্যানার্জি ছাত্র-যুবকে উদ্বুদ্ধ করেছে, করছে এবং করবে।” আর তাই অভিষেককে সম্মান জানাতে এবার গান বাঁধল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।