শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জামিন নাকচ যুব নেতার। আগামী ১৪ দিন জেল হেফাজতেই থাকতে হবে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে। জেলে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রাতেই তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালত। ১ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুকে অস্বস্তি হওয়ায় আপাতত ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে সৈকতকে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। সমস্ত পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এমএসভিপি কল্যাণ খাঁ জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: OMR কারচুপিতে গৌতম পালের ভূমিকা কী? ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে পর্ষদ সভাপতিকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের]
গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সুবোধ ও তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে সৈকত-সহ চারজনকে দায়ী করে যান দম্পতি। বাকি তিন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও অধরাই ছিলেন সৈকত। গত ১৬ জুন কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যেতেই শহর ছেড়ে উধাও হয়ে যান সৈকত। চারমাস পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সোমবার জেলা আদালতে হাজির হলে পুলিশ তাঁকে দুদিনের জন্য হেফাজতে নেয়।
বুধবার রিমান্ড শেষে সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে হাজির করে রিমান্ড না চাইলেও জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। শেষ পর্যন্ত জামিন না মঞ্জুর করে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সরকার পক্ষের আইনজীবী মৃন্ময় বন্দোপাধ্যায় জানান, বিচারক সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানান, সৈকতের হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন জানাবেন তাঁরা।