তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) ২৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলার মেয়ো রোডে সভা। প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকে একাধারে ছাত্র-যুবদের আন্দোলনকে অক্সিজেন জোগানো, অন্যদিকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সুর বেঁধে দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সমস্ত খুঁটিনাটি নিয়ে LIVE UPDATE:
দুুপুর ১.৫৫: বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে মমতার কটাক্ষের পালটা দিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর শ্লেষ, ‘ওরা তো কাটমানির প্রশিক্ষণ নেয়, আমাদের এই শিবির সম্পর্কে কী আর জানবে?’
দুপুর ১.৪৭: নিজের আয়ের উৎস নিয়েও স্পষ্টবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ”আমি ১ লক্ষ টাকা করে পেনশন ১২ বছর ধরে নিই না, কত টাকা হয়, হিসেব করুক ছাত্র-যুবরা। বই কেন বিক্রি করি, তা নিয়ে প্রশ্ন। বুকফেয়ারে খোঁজ নিয়ে দেখুন, কোন বই বেস্টসেলার। লিখে দেখান না ১০০০ কবিতা।”
দুপুর ১.৪০: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে হাই কোর্টে মামলা ইস্যুতে মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বললেন, ”ওগুলো কি আমার সম্পত্তি? আমরা সবাই আলাদা আলাদা পরিবার। মায়ের দায়িত্ব ছিল আমার। সকলের পরবর্তী প্রজন্ম হয়েছে, তারা উপার্জন করেছে। আমার তো সব ডকুমেন্ট দেওয়াই আছে। আমি বলি, এই মামলা ইন্টারন্যাশনাল আদালতে হোক।”
দুপুর ১.৩৩: সিবিআই, ইডির হাতে ধৃত দলীয় নেতাদের নিয়ে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ”পার্থ-কেষ্ট চোর কি না, তা আইন বলবে। কিন্তু এসব কী চলছে? ববি চোর, অভিষেক চোর, মমতা চোর? সব কিছুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে টানা! আর বিজেপির সবাই সাধু?” তীব্র আক্রমণ নেত্রীর।
দুপুর ১.৩০: বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরকে কটাক্ষ করে মমতার বক্তব্য, ”ওটা কি ক্রন্দন শিবির নাকি মন্থন শিবির? বিজেপির বৃন্দাবন। এত টাকা কোথায় পাচ্ছে?”
[আরও পড়ুন: ‘রক্ত দিয়ে বাংলা ভাগ রুখব’, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ উদয়ন গুহর]
দুপুর ১.২৩: SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব তৃণমূল নেত্রী। বললেন, ”যে শিক্ষা নিয়ে এত কথা চলছে, তা বিচারাধীন, কিছু বলব না। কিন্তু প্রশ্ন করি, সিপিএমের আমলে কত চাকরি হয়েছে তার ডকুমেন্ট কোথায় টাকা নিয়েছো আর চাকরি দিয়েছো। যা কুৎসা হচ্ছে, তাতে আমি যদি চেয়ারে না থাকতাম তাহলে জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলতাম।” তথ্য দিয়ে জানালেন, ১ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ চাকরি দেওয়া হয়েছে।
দুপুর ১.১৮: মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। ছাত্র-যুব নেতাদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানালেন তিনি। ছাত্র-যুবদের জন্য তৃণমূল সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুপুর ১.১০: ‘বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী।’ বিরোধী দলনেতাকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, বুকের পাটা থাকলে আমার নামে মানহানির মামলা করুন। দিলীপ ঘোষকেও ‘গুন্ডা’ বলে আক্রমণ।
দুপুর ১.০৬: জয় শাহর জাতীয় পতাকা বিতর্কে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ালেন অভিষেক। তাঁর দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে হয়ে এমন কাজ করার জন্য উনি ছেলেকে ‘ত্যাজ্য পুত্র’ করুন।
[আরও পড়ুন: তেরঙ্গা বিতর্কে জয় শাহ: ‘কুলাঙ্গার ছেলেকে ত্যাজ্যপুত্র করুন’, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিষেক]
দুপুর ১.০৪: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ”বিএসএফের নাকের ডগায় কয়লা, গরু চুরি। পাচারের টাকা দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছে। গরুপাচার আটকাতে ব্যর্থ কেন্দ্র। আর দোষ তৃণমূলের ঘাড়ে। এটা কোনও পাচার কেলেঙ্কারি নয়। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কেলেঙ্কারি।” পরোক্ষে অনুব্রত মণ্ডলকে সমর্থন অভিষেকের।
দুপুর ১.০১: বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেকের বক্তব্য, ”আগে ছাত্র-যুব সংগঠনের সঙ্গে লড়াই করুন, তারা ১০ গোল দেবে। পরে মমতার সঙ্গে লডা়ইয়ের কথা ভাববেন।”
দুপুর ১২.৫০: কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে আক্রমণ ফিরহাদ হাকিমের। বললেন, ”আজ আমাদের বদনাম করছেন। এমন একদিন আসবে আপনার সরকার যাবে আমাদের এই এজেন্সিকে ক্লিন চিট দিয়ে বলতে হবে আমরা ভুল করেছিলাম। আপনাদের কোনও অন্যায় নেই।”
দুপুর ১২.৪৩: বাগদায় বিএসএফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরব যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর সাফ বক্তব্য, ”বিএসএফ জওয়ানরা ধর্ষণ করছে – এরকম ঘটনা ঘটছে আজকাল। বিজেপি জ্ঞান দিতে এলে বাংলার মানুষ জানে, ধর্ম শুধু কর্ম নয়, ধর্ম সাধনা, ধর্ম মানবতা। জেনে রাখুন, যত নিন্দা করবেন, উত্তর পেয়ে যাবে ভোটবাক্সে। বুঝতে পারবেন, বাংলার মানুষ কাকে চায়, কাকে চায় না।”