সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের অন্দরে থেকেই দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই এই অভিযোগ করছিলেন রাজ্যের শাসক শিবিরের নেতারা। কিন্তু কী সেই ষড়যন্ত্র? শনিবার শুভেন্দুর দুর্গে দাঁড়িয়েই তা ফাঁস করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “ভোটের পর তৃণমূলের ৩৫-৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ছক কষেছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূলের (TMC) বিধায়কদের বিজেপিতে নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছক কষছিলেন তিনি।”
শনিবার কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ‘গাত্রদাহে’র আসল কারণ ফাঁস করেন অভিষেক। বলে দেন,”আমি আজ মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে আছি। তাই আপনাদের খোলাখুলিই বলছি। তৃণমূলে থাকাকালীন কেন এত গাত্রদাহ হচ্ছিল জানেন? অবজারভার পদ তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে। ” বস্তুত, তৃণমূলে থাকাকালীন মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুরের পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর এই পর্যবেক্ষক পদটিই তুলে দেয় তৃণমূল। অভিষেকের দাবি, “এই অবজারভার পদটির অবলুপ্তিই শুভেন্দুর গাত্রদাহের মূল কারণ। কারণ, শুভেন্দু মুর্শিদাবাদের ২২ টি আসন, মালদহের ১২টি আসন, উত্তর দিনাজপুরের ৯টি আসনের পর্যবেক্ষক ছিলেন। সেই সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসন তো আছেই। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি আসনে আধিপত্য ছিল শুভেন্দুর। পৃথিবী রসাতলে গেলেও এই ৫০টি আসনের মধ্যে ৩৫-৩৬টা তৃণমূল জিতবেই।” অভিষেকের অভিযোগ, “ভোটের পর এই ৩৫-৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ছক করছিলেন শুভেন্দু।” তৃণমূল যুব সভাপতির ইঙ্গিত, পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়ায় সেটা সম্ভব হবে না বুঝেই বিজেপিতে (BJP) গিয়েছেন শুভেন্দু।
[আরও পড়ুন: ‘মীরজাফরদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে’, ভোটের আগে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের]
শুধু ষড়যন্ত্র ফাঁস করাই নয়, কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুকে রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। কিছুদিন আগে তৃণমূল যুব সভাপতির স্ত্রীর বিদেশে অ্যাকাউন্ট আছে বলে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিষেক এদিন স্পষ্ট করে দেন, রুজিরার কলকাতার বাইরে কোথাও কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। তৃণমূল নেতা আরও একবার সদর্পে ঘোষণা করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারলে তিনি ফাঁসিতে ঝুলতেও রাজি। সেই সঙ্গে সারদা থেকে শুরু করে গরু পাচার, কয়লা পাচার কাণ্ডের মতো দুর্নীতিতেও শুভেন্দু জড়িত বলে ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো।