রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2011) আগে নানা টানাপোড়েনের পর দলবদল করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। শুভেন্দুর দলবদলের পর এই প্রথমবার কাঁথির দইসাইয়ের মাঠে সভা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ওই সভা থেকে শুভেন্দুকে একাধিক ইস্যুতে খোঁচা দিলেন তিনি। ‘মীরজাফর’ বলে আরও একবার কটাক্ষ করেন। মেদিনীপুরের যেকোনও প্রান্তে ভোটে দাঁড়ালে জামানত বাজেয়াপ্ত করার হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগের পরই বদলেছে সমীকরণ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের আসনটি কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। এই প্রেক্ষাপটে গত মাসে জনসভার মঞ্চ থেকে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারও উপর ভরসা না রেখে নিজেই লড়ার কথা বলায় তা নিয়ে বিরোধী বিজেপির কটাক্ষের শিকার হন তৃণমূল নেত্রী। দিনকয়েক আগে তারই পালটা হিসাবে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটের লড়ার আভাস দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা হবে বলেই দাবি করেন তিনি। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এদিন দইসাইয়ের জনসভা থেকে শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিষেক। তাঁর চ্যালেঞ্জ, মেদিনীপুরের যেকোনও জায়গা থেকে দাঁড়ালেই ‘মীরজাফর’ শুভেন্দু জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারাবেন বলেই দাবি তাঁর। ক্ষমতায় আসার তিন মাসের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া করার হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
[আরও পড়ুন: আসন দখলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল, বর্ধমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা উপড়ে ফেলতে আসরে টিম পিকে]
মেদিনীপুরকে শুভেন্দুর গড় বলা নিয়েও আপত্তি তোলেন তিনি। মেদিনীপুর শুভেন্দুর কেনা নয় বলেই দাবি তাঁর। ‘ভাইপো’ কটাক্ষ নিয়েও সুর চড়ান তিনি। ‘অকৃতজ্ঞ’ বলেও শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। বিধানসভা ভোটে ‘বেইমান’দের ঝেঁটিয়ে বিদায়ের বার্তাও দেন তিনি। তবে তার পালটা হিসাবে এখনও শুভেন্দু অধিকারী কিংবা গেরুয়া (BJP) শিবিরের থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।