সুব্রত বিশ্বাস ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বকেয়া আদায়ে তৃণমূলের (TMC) ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচিতে বাধা! শনিবার দলের কর্মীদের দিল্লি যাওয়ার জন্য ট্রেনে বিশেষ ট্রেনের আবেদন করেছিল তৃণমূল। কিন্তু শুক্রবার পূর্ব রেলের (Eastern Railway) তরফে জানানো হয়েছে, কোচের অভাবে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। X হ্যান্ডেলে এই খবর জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তবে শাসকদলের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, যতই আটকানোর চেষ্টা হোক, মাথা নত করবে না তৃণমূল। আন্দোলন জারি থাকবেই।
যদিও এ বিষয়ে পূর্ব রেলের দাবি, তাদের কাছে দলের তরফে কোনও আবেদন করা হয়নি। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ”আমাদের কাছে আবেদন আসেনি। আইআরসিটিসি গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজারের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিল তৃণমূল। তারা আমাদের কাছে ট্রেন চায়। রেক না থাকায় দিতে পারিনি।”
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি!’ দাবি করলেন বাবরদের সুপার ফ্যান ‘বসির চাচা’]
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের কাছে বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে তিনদিনের কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। শনিবার সকাল ৮ টায় বিশেষ ট্রেনে তাঁদের দিল্লি রওনা হওয়ার কথা ছিল। রবিবার দিল্লি পৌঁছে ২ ও ৩ অক্টোবর টানা ধরনা, প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে। সেই কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতায়। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তাঁরা রয়েছেন। শুক্রবার বিকেলেই রেলের তরফে দুঃসংবাদ এল তাঁদের কাছে। বিশেষ ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না।
যদিও তৃণমূলের আবেদনে ট্রেন না দেওয়াকে রাজনৈতিক সংঘাত বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকদেরই একাংশ। তাঁদের মতে, দৈনিক যেসব ট্রেন চলে, তাতে বাড়তি রেক থাকে। পাশাপাশি, আইসিএফ কোচ বাতিল হয়ে বিভিন্ন হাই স্পিড ট্রেন চলছে। এই আইসিএফ কোচ রয়েছে রেলের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ। রেল চাইলে ১৫,২০টি রেক জোড়া লাগিয়ে ট্রেন বানাতে পারে।
[আরও পড়ুন: মানেকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ইসকনের, ১০০ কোটির খেসারত দাবি]
এনিয়ে X হ্যান্ডলে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ”আমাদের আটকাতে আরও একটি পদক্ষেপ। তবু আমরা নিজেদের প্রাপ্য আদায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। পশ্চিমবাংলার মানুষের সামনে তাঁদের এমন কুঁকড়ে যেতে দেখে ভাল লাগছে।”