সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) পালন করতে গিয়েও ত্রিপুরায় জোড়া হামলার মুখে তৃণমূল সাংসদরা। সাবলুম নন্দীগ্রাম এলাকার থাইভূম গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর একদল দুষ্কৃতী তৃণমূল (TMC) সাংসদ ও নেতা-কর্মীদের ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। এরপরই এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়। অভিযোগ, হামলা চলে দুই মহিলা সাংসদ – দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দারের উপরও। তাঁরা চিকিৎসার জন্য কলকাতায় ফিরছেন বলে খবর। অভিযোগ বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত নেতানেত্রীদের ফোন করে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদে গর্জে উঠে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ অভিযোগ, ”অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে ত্রিপুরায়। পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। স্বাধীনতা দিবসে পর্যন্ত আমাদের সাংসদদের উপর হামলা চলেছে। এবার মানবাধিকার কমিশন আর মহিলা কমিশন, ত্রিপুরায় এসে দেখুন।”
ত্রিপুরা (Tripura) সফরে বারবারই আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকরা। স্বাধীনতা দিবস ও ‘খেলা হবে’ দিবস পালনে এই মুহূর্তে বিপ্লব দেবের রাজ্যে রয়েছেন তৃণমূলের ৮ সাংসদ। রবিবার দলের মহিলা সাংসদদেরই টার্গেট করে হামলা চলে বলে অভিযোগ। দলীয় সূত্রে খবর, মারের চোটে সাংসদ দোলা সেনের আপ্ত সহায়কের মাথা ফেটেছে। চোট পেয়েছেন দোলা সেনও। আরেক সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের ব্যাগ, ফোন ছিনতাই করা হয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে সাংসদদের গাড়িও। এই অবস্থায় তৃণমূল যে প্রতিবাদের সুর আরও চড়াবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। কলকাতায় দলীয় দপ্তরে বসে কুণাল ঘোষ সেই প্রতিবাদের স্বরই যেন পৌঁছে দিলেন ত্রিপুরায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অনভ্যাসের জের! আলিমুদ্দিনে প্রথমবার তেরঙ্গা উত্তোলন করতে গিয়েই বিশ্রী ভুল CPM-এর]
সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ”আই প্যাকের সদস্যদের উপর হামলা থেকে শুরু হয়েছে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে বাধা দেওয়া শুরু। কেমন আছে ত্রিপুরা – এই সমীক্ষায় পর্যন্ত ভয় শাসক বিজেপির। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের কাজ সব হয় মাঝরাতে। আক্রান্তদের নিরাপত্তার কথা বলে থানায় নিয়ে গিয়ে মাঝরাতে গ্রেপ্তার করে। আজ, দেশের পতাকা তোলার সময় পর্যন্ত কুৎসিত আক্রমণ ঘটেছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। এখন আমাদের দাবি, মহিলা কমিশন, মানবাধিকার কমিশন ত্রিপুরায় এসে দেখুন কী ঘটছে।” সোমবারই ‘খেলা হবে’ দিবস। ওইদিন ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূল-বিজেপি উভয়েই শক্তি প্রদর্শনের মরিয়া চেষ্টা করবে, তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।