সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজারদর (Price Hike) নিয়ন্ত্রণে বড়সড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে বাজার কমিটি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক, মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে তা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বাড়ানো হল ভরতুকি। ফল, সবজিতে বড় অঙ্কের ভরতুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। ‘সুফল বাংলা’র আউটলেট বাড়ানো হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। সেখানে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে মিলবে রান্নাঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এছাড়া বাজারগুলিতে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ যাতে নজরদারি চালায়, সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একনজরে জেনে নেওয়া যাক বাজারদর নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত-
- রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে রয়েছে ৩৩২টি ‘সুফল বাংলা’র আউটলেট। এর মধ্যে জেলাগুলিতে রয়েছে ৩০ টি স্টল। তা বাড়িয়ে ৫০০ করা হবে।
- চালু হবে ‘সুফল বাংলা’র মোবাইল আউটলেট। কোভিডকালে যে বাস বা গাড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেগুলোই সুফল বাংলার স্টল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
- সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকেল ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ‘সুফল বাংলা’র আউটলেট।
- এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর রাজ্য সরকারের ভরতুকির (Subsidy) অঙ্ক বাড়ানোয় বাজারের তুলনায় খানিকটা কম দামে মিলবে।
- আলু, পিঁয়াজ, শশা, কলা, লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, আদা, রসুন, তরমুজ, খেজুর, ছোলা – এই খাদ্যসামগ্রী কম দামে পাওয়া যাবে ‘সুফল বাংলা’য়।
[আরও পড়ুন: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ফের CBI তদন্ত, নির্দেশ হাই কোর্টের]
চলছে রমজান মাস। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা রোজা পালন করছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, খেজুর, আঙুর, শশা, ছোলার মতো জরুরি খাদ্যসামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখতে হবে সুফল বাংলার স্টলে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে আলু কিংবা ছোলা নির্দিষ্ট পরিমাণ প্যাকেট করে বিক্রি করতে হবে। এই মুহূর্তে আমলাশোলে তৈরি হচ্ছে পিঁয়াজ। তা একান্ত ঘরোয়া পদ্ধতিতে চাষ। সেই সুখসাগর পিঁয়াজ নাসিক থেকে আমদানিকৃত পিঁয়াজের তুলনায় আরও কম দামে বিক্রি করা হবে বাজারে। কেজি প্রতি ১৫ টাকায় সুফল বাংলায় মিলবে সুখসাগর পিঁয়াজ।
[আরও পড়ুন: ভেজাল ওষুধ বিক্রি বন্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, তৈরি হচ্ছে ড্রাগ ল্যাবরেটরি]
আজ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই সুফল বাংলা স্টলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যাবে নবান্ন দ্বারা নির্ধারিত দামে। একমাস পর ফের টাস্কফোর্সের বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, বাজারগুলিতে নজরদারি বাড়াতে হবে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে পণ্যবাহী বিশেষত আলু-পিঁয়াজ ভরতি ট্রাকগুলিকে যেন নো এন্ট্রি জোনে আটকানো না হয়, তাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী।