সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচের অনুপস্থিতিতে মানসিক অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার লভলিনা বরগোঁহাই। জাতীয় বক্সিং ফেডারেশনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তাঁর পোস্টটি দেখার পরই দ্রুত আসরে নামে ক্রীড়ামন্ত্রক।
সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা পোস্টে লভলিনা (Lovlina Borgohain) লেখেন, “খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। যে কোচ আমায় অলিম্পিকে পদক জিততে সাহায্য করেছিলেন, তাঁকে বারবার বাধা দিয়ে আমার ট্রেনিং আটকে দেওয়া হচ্ছে। এঁদের মধ্যে দ্রোণাচার্য সন্ধ্যা গুরুংজিও রয়েছেন। আমার দুই কোচ রীতিমতো হাত জোড় করে অনুরোধ জানানোর পর তাঁদের ক্যাম্পে অনুশীলন করানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে যেমন আমার অনুশীলনে সমস্যা হচ্ছে তেমনই মানসিকভাবেও চাপে পড়ে যাচ্ছি।” এখানেই শেষ নয়। লভলিনা জানান তাঁর কোচ সন্ধ্যাকে কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজেও নাকি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কথায়, “আটদিন পরই গেমসে নামতে হবে। তার আগে আমার অনুশীলন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার আরেক কোচকে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক অনুরোধ করেও কোনও লাভ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নিজের খেলাতেই ফোকাস করতে পারছি না।”
[আরও পড়ুন: অবসর ভেঙে ব্যাট হাতে ২২ গজে ফিরছেন মিতালি রাজ! নিজেই দিলেন ইঙ্গিত]
এই একই কারণে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে বলেও বিস্ফোরক দাবি করেন অসমের তারকা বক্সার। দৃঢ় কণ্ঠে লভলিনা বলে দিচ্ছেন, “আমি চাই না এই রাজনীতির জন্য আমার কমনওয়েলথের পারফরম্যান্স খারাপ হোক। আশা করি, এসবকে পিছনে ফেলে আমি দেশকে পদক এনে দিতে পারব।”
লভলিনার অভিযোগ কানে পৌঁছনোর পরই আসরে নামে ক্রীড়ামন্ত্রক। জাতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে দ্রুত লভলিনার কোচের জন্য অনুমতিপত্র বা অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সোমবার ভারতীয় বক্সিং ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়, গেমস ভিলেজে অ্যাথলিটদের সংখ্যার ৩৩ শতাংশ স্টাফকেই থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই সমস্ত বাধ্যবাধকতার জন্যই হয়তো এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে জাতীয় অলিম্পিক সংস্থা ও ফেডারেশন দ্রুত সন্ধ্যা গুরুংজির অনুমতিপত্রের ব্যবস্থা করবে। আশা করা হচ্ছে, মঙ্গলবারই সমস্যা মিটে যাবে।
তবে লভলিনার মতো দেশকে অলিম্পিক পদক এনে দেওয়া অ্যাথলিটকেও যে এভাবে মানসিক হেনস্তার শিকার হতে হয়, তা জেনে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা।