সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের (Kerala) এর্নাকুলমে প্রার্থনা চলাকালীন ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় বাড়ল মৃতের সংখ্যা। গতকালই মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। সোমবার ওই ঘটনায় গুরুতর জখম ১২ বছরের কিশোরীর মৃত্যু হল। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। গতকাল রাতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, ২০ সদস্যের দল ঘটনার তদন্তে নেমেছে। সোমবার নাশকতার ঘটনায় তিরুবন্তপুরমে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন বিজয়ন।
রবিবার সকালে কেরলের এর্নাকুলম শহরের কালামাসেরি এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থনা চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। জখম হয়েছেন ৫০ জন। বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। কেরল পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত নেমেছে করেছে এনআইএ। ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক সন্দেহভাজন আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম ডমিনিক মার্টিন। তিনি দাবি করেছেন, যে সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল, সেই ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়েরই মানুষ তিনি।
[আরও পড়ুন: আলোর রোশনাইয়ে ফুটে উঠল সেরা ফিল্ডারের নাম, কার গলায় ‘সোনার’ মেডেল?]
মার্টিন আত্মসমর্পণের আগে একটি ভিডিও আপলোড করেন সোশাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওতে জানান, জেহোভা সম্প্রদায়ের খ্রিস্টানদের আচারের বিরোধিতা করতেই হামলা চালিয়েছেন। এই সম্প্রদায়ের কার্যকলাপ বন্ধ করতে চান। তাঁর বক্তব্য, জেহোভাদের নীতি ও ধারণাগুলি দেশের জন্য ক্ষতিকর। তরুণ প্রজন্মের মনকে বিষিয়ে তুলছে এরা। সেই কারণেই নাশকতা চালিয়েছেন।
মার্টিন নাশকতার দায় স্বীকার করলেও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার সকালে সন্দেহভাজন ব্যক্তির শারীরিক পরীক্ষা করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন দুবাইতে ছিলেন অভিযুক্ত। সব দিক খতিয়ে দেখছেন কেরল পুলিশ এবং এএনআইয়ের গোয়েন্দারা। অন্যদিকে আজ সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বিরোধী দলগুলির তোপের মুখে পড়তে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। গতকালই বিস্ফোরণ নিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিল গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে গেহলটই ট্রাম্প কার্ড কংগ্রেসের, ব্যাকফুটে বিজেপি]
উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের সময় কনভেনশন সেন্টারে ২ হাজার লোক ছিল। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরক রাখা ছিল একটি টিফিন কৌটোতে। পুলিশের দাবি, আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে আহতদের চিকিৎসার কথা মাথায় রেখে গতকালই রাজ্যের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করেছে কেরল সরকার। সংবাদমাধ্যমগুলির সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী আহতের সংখ্যা ৫০। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। একাধিক হাসপাতলে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।