পারমিতা কামিলা: ভোটের হাওয়ায় টলি তারকারদের দলবদল বা রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নতুন কিছু নয়। শুধু পালটে যাচ্ছে রং, পালটে যাচ্ছে মুখ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন টলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ পায়েল সরকার।
বৃহস্পতিবার সকালে হেস্টিংসে ‘লক্ষ্য সোনার বাংলা’ প্রকল্প উদ্বোধনের মঞ্চেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী (Payel Sarkar)। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যা প্রত্যাশিত ভাবেই চমকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলকে।
[আরও পড়ুন: ভোটের হাওয়ায় বামেদের প্রচারে অভিনব পন্থা অভিনেত্রী শ্রীলেখার]
কীভাবে তিনি ভোটের কাজে প্রস্তুতি নেবেন? প্রশ্নের উত্তরে পায়েল বলেছেন, “আমার এজেন্ডা স্পষ্ট। মন পরিষ্কার রেখে ভাল কাজ করে যাওয়া। রাজ্যবাসীর জীবন আরও সুন্দর করে তুলতে যে যে প্রকল্প ও প্রচেষ্টা করা হবে, তাতে সামিল থাকব আমি। যে যাই সমালোচনা করুন না কেন, যা কিছুই বলুন না কেন, সেই বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে যাওয়াই মূল উদ্দেশ্য।” ছবির কাজে ব্যাঘাত হবে না? পায়েল স্পষ্ট জানিয়েছেন, “দুটো ক্ষেত্র সম্পূর্ণ আলাদা। অভিনয় ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। পাশাপাশি সমাজের জন্যও কাজ করে যাব। কারণ মেয়েরা সবকিছু হ্যান্ডেল করতে পারে।”
প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তাহলে পায়েল কেন মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব কিছু হ্যান্ডেল করতে পারছেন না? জবাবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করব বলে বিজেপিতে যাইনি। তাঁর কাজের ক্ষেত্রে সক্ষমতা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। সবচেয়ে বড় বিষয় বাংলার জনগণ কী চাইছেন, মানুষ যাঁকে চাইবে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির আদর্শ। যা আমার সঙ্গে মেলে। তাই ওঁর আদর্শ মেনেই কাজ করে যাব।”
[আরও পড়ুন: ‘নারীসুরক্ষা নষ্ট করবে বিজেপি’, তৃণমূলে যোগদানের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া সায়নী ঘোষের]
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস, হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পালটা বুধবার ঘাসফুলে নাম লিখিয়েছেন, রাজ চক্রবর্তী, মানালি দে, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষের মত হেভিওয়েট তারকারা।