সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেকনিশিয়ান-পরিচালক দ্বন্দ্বে এবার নতুন মোড়। সোমবার বেলা বাড়তেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের বাড়ি 'উৎসবে' ছুটলেন টলিউড পরিচালকরা। এদিন সকাল থেকেই অচেনা ছন্দে চলছে টলিপাড়া। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন... অফ! সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার, টলিউডের অন্দরে ক্যামেরা বন্ধ। কোনও শোরগোল নেই। টেকনিশিয়ান স্টুডিও চত্বর, এনটিওয়ান থেকে দাশানি স্টুডিও তথা গোটা সিনেমাপাড়া সব খাঁ-খাঁ করছে। পরিচালকদের ফ্লোর বয়কটের জেরে সমস্ত সিনেমা, সিরিয়ালের শুটিং বন্ধ। পালটা হুঁশিয়ারি দেগে বিকেল চারটেয় বৈঠকের কথা জানিয়েছেন কলাকুশলীরা।
সমস্যা না মিটলে পালটা অসহযোগিতার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ডিরেক্টর্স গিল্ড। তবে ফেডারেশনও একবগ্গা! এদিকে রাহুল মুখোপাধ্যায়কে (Rahool Mukherjee) ফ্লোরে চাইছেন না কেউ। সোমবার বিকেলে টেকনিশানদের বৈঠকের পালটা প্রস্তুতি নিতেই কি টলিউড পরিচালকদের এই বৈঠক? উঠছে প্রশ্ন। প্রসেনজিতের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন গৌতম ঘোষ, সুদেষ্ণা রায়, রাজ চক্রবর্তী, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, বীরসা দাশগুপ্ত-সহ টলিপাড়ার তাবড় পরিচালকরা। শনিবারই টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে একজোট হয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার ফ্লোর বয়কটের পর ফের নতুন পদক্ষেপ তাঁদের। উল্লেখ্য, পরিচালকদের পাশে দাঁড়িয়ে এই ইস্যুতে বার্তা দিয়েছেন বড়পর্দা থেকে টেলিপর্দার প্রযোজকরা। কবে কাটবে টলিপাড়ার এই অচলায়তন অবস্থা? সন্দিহান সকলেই। মধ্যস্থতা করতে চেয়েছে আর্টিস্ট ফোরামও।
[আরও পড়ুন: পরিচালকদের ফ্লোর বয়কট, ফাঁকা স্টুডিও পাড়া, টলিপাড়ার সমস্যা কী মিটবে]
পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে দ্বন্দ্ব অব্যাহত। টলিপাড়ার পরিচালকদের হুঁশিয়ারি বাস্তবে পরিণত হল। সমস্যা না মেটা পর্যন্ত সোমবার থেকে ফ্লোর বয়কট করলেন পরিচালকরা। এই বিষয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আন্দোলনে নামেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে অরিন্দম শীল, অপর্ণা সেন থেকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সকলেই। ডিরেক্টর্স অ্য়াসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশান পিকচার্সের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যতক্ষণ না পরিচালকদের সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত শুটিং ফ্লোরে সদস্যদের (পড়ুন পরিচালকদের) অনুপস্থিত থাকতে বলা হচ্ছে।” সেই নির্দেশমাফিকই সোমবার স্তব্ধ টলিউড। এদিকে ফেডারেশনের টেকনিশিয়ানদের পালটা অভিযোগ, "গুপি শুটিংয়ের জন্য ভুগতে হচ্ছে তাঁদের!" সমস্যাটা সিনেশিল্প এবং এর সঙ্গে জড়িত হাজারো মানুষের রুটি-রুজির। সমস্যা মিটুক, টলিপাড়ার আঁধার কাটুক, চাইছেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।