সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীমণি ও শরিফুল রাজের পরপর হাসপাতালে ভরতি হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এবার এই ঘটনায় আরও এক অভিনেত্রীর নাম জড়াল। হাসপাতালে ভরতি তমা মির্জা। তাহলে তাঁর সামনেই পরীমণি ও শরিফুল রাজের অশান্তি তুমুল আকার নিয়েছিল? রক্তরক্তি কাণ্ড পর্যন্ত ঘটে গিয়েছিল? এমন প্রশ্ন উঠছে। যার জবাব দিলেন ‘সুড়ঙ্গ’ খ্যাত অভিনেত্রী।
২০২১ সালে গোপনে বিয়ে সেরেছিলেন পরীমণি ও রাজ। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ছেলে রাজ্যর জন্ম দেন অভিনেত্রী। তারপর থেকে বেশ ভালই ছিলেন বাংলাদেশির তারকা দম্পতি। কিন্তু কিছুদিন আগেই রাজের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে অভিনেতার বিরুদ্ধে। তারপর থেকে সম্পর্কে অম্লতা। কিন্তু এরমধ্যেই আবার রাজ-পরীমণিকে খোশমেজাজে দেখা গিয়েছিল। সমস্ত মনোমালিন্য মিটে গিয়েছে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘বিগ বস’ জিতেই গেরুয়া শিবিরে! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন এলভিস যাদব?]
কিন্তু গত সপ্তাহেই আবার সম্পর্কের সমীকরণ পালটে যায়। ছেলে রাজ্যকে নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার ছবি শেয়ার করেন পরীমণি। তারপরই শরিফুল রাজের রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার একটি ছবি ভাইরাল হয়। শোনা যায়, বাংলাদেশের তারকা দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। যা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর ফলেই পরীমণি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাজের মাথায় আঘাত লাগে। কিন্তু এর সঙ্গে তমা মির্জার কী সম্পর্ক? রটনা, তিনি নাকি এই ঝামেলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন। সেই কারণে তিনিও চোট পান।
যদিও অভিনেত্রী বক্তব্য, যে মেয়ে নিজে স্বামীর হাতে মার খেয়ে ঘর ছেড়েছিল, সে অন্য কারও স্বামীর হাতে মার খাওয়ার পাত্রী নয়। পরীমণি ও রাজের মধ্যে যদি সত্যিই কোনও হাতাহাতি হয়ে থাকে, তার মাঝে তিনি অন্তত ছিলেন না। অবশ্য ১৮ আগস্ট পরীমণির ও রাজের সঙ্গে তমার দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু জ্বরের জন্যই তিনি যেতে পারেননি। হাসপাতালে ভরতি হওয়ার খবর পরীমণিকে দিয়েছিলেন। অভিনেত্রী বান্ধবীকে দেখতে আসার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু, তমা যখন হাসপাতালের বেডে ছিলেন, নিজে পরীমণিকে হুইলচেয়ারে সেখানে আসতে দেখেন। বান্ধবীকে পরীমণি জানান, জ্বর এসেছে বলে তাঁকেও হাসপাতালে ভরতি হতে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ছবির প্রচারে শিয়াল সেজে কলকাতার রাস্তায় পরিচালক, একা চলার এত স্পর্ধা? দিলেন জবাব]