সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তির দৌড় যে কতটা লম্বা, তা প্রতি পদে পদে বোঝা যায় আজকের জেটগতির দুনিয়ায়। এবার মহাশূন্যে ফলল টমেটো (Tomatoes)! বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নজর রাখতেই হবে নাসার টুইটে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS)ছোট্ট গ্রিনহাউসের বনসাঁই গাছে ফলেছে ছোট ছোট টমেটো। আর তাতেই আপ্লুত বিজ্ঞানীরা। শনিবার ISS থেকে ফিরেছে স্পেস এক্সের একটি পণ্যবাহী রকেট। আর তাতেই পৃথিবীর মাটিতে এসে পৌঁছেছে মহাকাশের টমেটো। প্রযুক্তির কী আশীর্বাদ!
টমেটোর পুষ্টিগুণ (Nutritious value) নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছিলেন, মহাশূন্য থাকাকালীন টমেটো খাওয়া যেতে পারে, তাতে সবদিক থেকে সুবিধা হবে। কিন্তু সবসময় কি আর পৃথিবী থেকে টন টন টমেটো আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সরবরাহ করা সম্ভব? বারবার কার্গো রকেটে এত খাদ্যদ্রব্য পাঠানো বিশেষ অনুকূল নয় নাসার (NASA) পক্ষে। এই তো প্রায় ২০০০ কেজি জিনিসপত্র নিয়ে কয়েকদিন আগেই ISS-এ গিয়েছিল স্পেস এক্সের রকেট CRS-27। তাতে ছিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
[আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আইপিএলে অভিষেক অর্জুনের, নাইটদের বিরুদ্ধে নেই রোহিত]
তবে CRS-27 শূন্য হাতে ফেরেনি। স্পেস স্টেশনে ফলে ওঠা টমেটো পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে। জানা গিয়েছে, সেখানকার ল্যাবরেটরির মধ্যেই একটি ছোট্ট গ্রিনহাউস (Greenhouse) তৈরি করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে টমেটোর চাষ করা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, ৯০, ৯৭ ও ১০৪ দিনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টমেটো ফলেছে। আর সেটাই মহাশূন্যে ভেসে থাকা বিজ্ঞানীদের রোজকার রসদ জোগাচ্ছে। পাশাপাশি, তা জমিয়ে রেখে ছোটখাটো পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। বিশেষত টমেটোর পুষ্টিগুণ আরও কতটা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে নিরন্তর অঙ্ক কষছেন বিজ্ঞানীরা।
[আরও পড়ুন: প্রকৃতির আজব খেলা! তীব্র দহনের মাঝে আচমকা হলদিয়ায় ‘টর্নেডো’, দেখুন ভিডিও]
আসলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থেকে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা চালাতে চাইলে টাটকা খাবারদাবার জরুরি। আর তার জন্য মহাকাশ স্টেশনে ফলন দরকার। তাই উপায় বের করে ছোট্ট একটি গ্রিনহাউস তৈরি করে কার্যত চাষের কাজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে স্পেস স্টেশনে সফলভাবে মুলো চাষ করা হয়েছিল। এবার টমেটো। হয়ত এভাবেই একদিন মহাশূন্যে থাকা বিজ্ঞানীদের খাবারের ভাঁড়ার পূর্ণ হয়ে উঠবে এ পৃথিবীর ফলফলাদি ছাড়াই।