সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য। এবার জম্মু ও কাশ্মীরে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে লস্কর-ই-তইবা (Lashkar) তথা টিআরএফ-আর শীর্ষ কমান্ডার-সহ দুই জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: Madhya Pradesh: নাম ভাঁড়িয়ে ব্যবসা করার খেসারত! মুসলিম চুড়ি বিক্রেতাকে ‘গণপ্রহার’ জনতার]
কাশ্মীর পুলিশের শীর্ষকর্তা আইজিপি বিজপয় কুমার জানিয়েছেন, সোমবার শ্রীনগরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে লস্কর তথা টিআরএফ-এর (TRF) কমান্ডার আব্বাস শেখ ও তার সঙ্গী শাকিব মঞ্জুর। এই ঘটনাকে কাশ্মীর পুলিষের জন্য বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন নিহত আব্বাস কাশ্মীরে মোস্ট ওয়ানন্টেড দশজন জঙ্গি কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসমুক্ত করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। একের পর এক খতম করা হচ্ছে জেহাদি কমান্ডারদের। গত জুন মাসে শ্রীনগরে নিকেশ করা হয় লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে। ফলে উপত্যকায় কার্যত কোণঠাসা জঙ্গিরা। এহেন পরিস্থিতিতে ‘বদলা নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চ ‘The Resistance Front’ (TRF)।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে ভারতীয় গোয়েন্দাদের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, লাদাখে চিন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। এর জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বিভিন্ন জায়গায় আল বদর (Al-Badr) জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছে সে দেশের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। আর এই কাজে তাদের পুরোপুরি মদত দিচ্ছে চিন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি শিবিরে গিয়ে চিনের কয়েকজন আধিকারিক আল বদর জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও করেছে। এমনকী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সমস্ত খরচও দিচ্ছে। আর আল বদরের পাশাপাশি পাকিস্তানের মদতপুষ্ট অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলিকেও এই কাজে লাগানো হচ্ছে। সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য আইএসআই টিআরএফ-কে (TRF) দায়িত্ব দিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।