অর্ণব আইচ: তপসিয়া কাণ্ডের তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্নও। ঘটনার নেপথ্যে তৃতীয় ব্যক্তির অস্বিত্ব টের পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তিনি কে? তা জানার চেষ্টা চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে চাঁপদানি ঘাটের সিসিটিভি ফুটেজ।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। ওই দিন রাতে তপসিয়ার (Topsia) ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দা বিশ্বনাথ আঢ্যকে রেস্তরাঁয় খেতে নিয়ে যায় পিয়ালী। খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি মদ্যপানও করেন ওই প্রৌঢ়। এরপর নেশাগ্রস্ত বাবাকে নিয়ে চাঁদপাল ঘাটে যায় পিয়ালী। দীর্ঘক্ষণ গল্প করে বাবা-মেয়ে। সেখানেই কার্যত ঘুমে ঢুলে পড়েন বিশ্বনাথ। অভিযোগ, সেই সময়ই কেরোসিন ঢেলে বাবাকে পুড়িয়ে দেয় পিয়ালী। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উত্তর বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের এক ভাই। এরপরই পিয়ালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জোটে জট থেকে কর্মী বিক্ষোভ! অস্বস্তির মধ্যেই ৯১ আসনের প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পিয়ালীকে দফায় দফায় জেরা করা হলেও মুখ খুলছে না সে। তদন্তকারীদের কথায়, বাবাকে সম্পূর্ণ মদ্যপ অবস্থায় চাঁপদানি ঘাটে নিয়ে গিয়েছিল পিয়ালী। একজন মহিলার পক্ষে যা কার্যত অসম্ভব। এক প্রৌঢ়কে পুড়িয়ে ফেলাও একা মহিলার পক্ষে সম্ভব কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কোনও গাড়ি করেই রেস্তরাঁ থেকে ঘাটে পৌঁছেছিল পিয়ালী, সেই গাড়ির চালক গোটা বিষয়টি জানেন, সেই সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। অথবা পিয়ালী আর বিশ্বজিৎবাবুর সঙ্গে ওই রাতে অন্য কেউ ছিলেন, যার সাহায্যেই মদ্যপ বাবাকে ঘাটে নিয়ে গিয়েছিল ধৃত এমনটা মনে করছে পুলিশ। কিন্তু তিনি কে? ঠিক কী কারণে এই নৃশংসতা? তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ঘাটের সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্যাক্সিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই গাড়ির চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্যের জট খুলতে পারে বলে আশাবাদী পুলিশ।