দেবব্রত দাস, খাতড়া: বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে পর্যটকদের জন্য হোম স্টে তৈরির পরিকল্পনা নিল জেলা প্রশাসন। শনিবার বিকেলে খাতড়া মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মসমিতির বৈঠক শেষে এই পরিকল্পনা নেওয়ার কথা জানান বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশংকর এস।
এদিন জেলাশাসক বলেন, “মুকুটমণিপুরে শীতে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে। বেসরকারি লজ, হোটেল থাকলেও ভিড়ের চাপে অনেকেই থাকার জায়গা পান না। পর্যটকদের থাকার সুবিধার জন্য মুকুটমণিপুরের বারোঘুঁটুর পাশে কুমারবহাল এলাকায় স্থায়ী তাঁবু তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলি তৈরির পর সেগুলিকে স্থানীয় আদিবাসী পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এগুলিতে পর্যটকরা হোম-স্টে হিসাবে থাকতে পারবেন।”
এদিনের বৈঠকে মুকুটমণিপুরের উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন জেলাশাসক-সহ পর্ষদের আধিকারিকরা। মুকুটমণিপুর জলাধারে ওয়াটার স্পোর্টস চালু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা হয়নি। এ বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, “ওয়াটার স্পোর্টসের সরঞ্জাম নিয়ে আসার কথা ছিল ঝাড়খণ্ডের একটি সংস্থার। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে বিধানসভার ভোট চলায় ওই সংস্থার লোকজন আসতে পারেনি। তাই এদিন ওয়াটার স্পোর্টসের উদ্বোধন বাতিল করা হয়। এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা খাতড়ার মহকুমাশাসক রাজু মিশ্র প্রমুখ।
[আরও পড়ুন: বিপ্লবীদের গোপন ঘাঁটিতে হবে পর্যটন কেন্দ্র, উদ্যোগী বাঁকুড়া প্রশাসন]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের মরশুমের শুরু থেকেই বাঁকুড়া জেলার অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্র মুকুটমণিপুরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এই পর্যটকদের স্রোত কংসাবতী জলাধার কেন্দ্রীক মুকুটমণিপুরে আরও বাড়বে বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি। সেক্ষেত্রে শনিবার মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ পর্যটকদের এখানে রাত্রিবাসের জন্য যে হোম-স্টের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন এই জলাধারের উপর নির্ভর করে জীবন-জীবিকাধারী এলাকাবাসী।
[আরও পড়ুন:লাভপুরে সিপিএম সমর্থকদের হত্যা মামলা, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম মুকুল-মনিরুলের]
The post পর্যটকদের সুবিধার্থে নয়া উদ্যোগ, মুকুটমণিপুরে হোম-স্টে’র পরিকল্পনা বাঁকুড়া প্রশাসনের appeared first on Sangbad Pratidin.