অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: এবার দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে গেলেই দিতে হবে বাড়তি কর। দার্জিলিং পুরসভা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে সে কথা। সেখানে গেলেই প্রত্যেক পর্যটককে মাথাপিছু ২০ টাকা করে দিতে হবে। মূলত জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের জন্যই এই বাড়তি কর বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরি। এদিকে পুরসভার এই সিদ্ধান্তে হতবাক পর্যটন সংস্থাগুলি। তাদের বক্তব্য আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। হঠাৎ এভাবে কর বাড়ানো যায় না।
জানা গিয়েছে, একদা সুভাষ ঘিসিংয়ের আমলে এই টাকা নেওয়া হতো। পরবর্তীতে নাকি বিমল গুরুং এর আমলেও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাঝে একটানা কয়েক বছর এই টাকা নেওয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু দার্জিলিং শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেই ফের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পরিচালিত দার্জিলিং পুরসভা।
[আরও পড়ুন: আমডাঙার পর এবার গোবাসায় তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত দলেরই একাংশ]
এবিষয়ে দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরি বলেন, “এটা কোনও নতুন বিষয় নয়। প্রায় ৩০ বছর ধরে এই কর পর্যটকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাঝখানে কিছুদিন এই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। আগেও ২০ টাকা নেওয়া হতো এখনও সেই টাকাই দিতে হবে। মূলত জঞ্জাল অপসারণ বিভাগে ব্যয় করার জন্যই এই কর। পাহাড়ে পর্যটকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে এই সিদ্ধান্ত। পুরসভায় সকলের সঙ্গে আলোচনা করে বৈঠকে সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। বিগত আমলে এই করের কোনও হিসেব ছিল না। কিন্তু এবার তা হিসেব থাকবে।”
অন্যদিকে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, “এটা ঠিক আগেও এই কর নেওয়া হতো। এটা নতুন নয়। তবে মাঝে বহু বছর তা বন্ধ ছিল। এ বিষয় আমরাও একটা বিজ্ঞপ্তি পেয়েছি। কিন্তু বিস্তারিত এখনই কিছু জানি না। হোমস্টে ও হোটেলের ক্ষেত্রে কি পৃথক পরিকল্পনা নাকি একই থাকছে তা সম্পূর্ণটা জেনে উঠতে পারিনি। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকলের সঙ্গে বৈঠক করলে হয়ত ভালো হতো। যদিও কর শুধুমাত্র দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ।” প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হোটেলে করের স্লিপ পৌঁছে গিয়েছে।