স্টাফ রিপোর্টার: চৈত্রের বাজারে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোট।গত বছর লকডাউন (Lockdown) থাকায় চৈত্র সেলের বাজার বন্ধ ছিল। ভোট এগিয়ে আসায় এ বছর বাজার জমবে না বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলা নববর্ষের আগে গুদাম ঘরে জমে থাকা মালপত্র খালি করতে চৈত্র সেলে দামে অনেকটা ছাড় দিয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। দামে ছাড় মেলায় চৈত্র সেলে মার্কেটগুলোতে ভিড় জমান ক্রেতারা। এবার অবশ্য চৈত্রের বাজারে সেই চেনা ছবি ফিরবে না বলে মনে করছেন ছোট থেকে বড় ব্যবসায়ীরা। ২৭ মার্চ থেকে রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে। ২৯ এপ্রিল শেষ দফার ভোট। এরই মাঝে রয়েছে পয়লা বৈশাখ। ১৪ এপ্রিল নববর্ষ। অর্থাৎ আর দিনকয়েক পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে চৈত্র সেল। পুজোর পর চৈত্র সেলে ভাল ব্যবসা করে থাকে হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের মতো মার্কেটগুলো। কিন্তু এবার চৈত্রেও অশনি সংকেত দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
[আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় দু’জায়গায় নাম তৃণমূল প্রার্থীর, কমিশন–বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ]
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের পোশাকের দোকানের কর্মী বাবলু মাইতি বলেন, “চৈত্র মাসে দোকান খালি করে দেওয়া হয়। নববর্ষে নতুন করে দোকানে পোশাক নিয়ে আসা হয়। লকডাউন থাকায় ২০১৯ সালে মজুত করা পোশাক এখনও দোকানে পড়ে রয়েছে। ভেবেছিলাম এবার চৈত্র সেলে সেগুলো বিক্রি হয়ে যাবে। কিন্তু ভোট পড়ায় এবারও পুরনো পোশাক দোকানে পড়ে থাকবে।” গড়িয়াহাট ইন্দিরা হকার্স ইউনিয়নের ট্রেজারার অজয় দে বলেন, “লকডাউনে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আর পূরণ হবে না। আনলক হলেও আগের মতো বাজার নেই। ক্রেতাসংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। সেই পুজোর সময় ক্রেতাদের একটু ভিড় ছিল। তারপর ব্যবসা মন্দা চলছে। ভেবেছিলাম চৈত্র সেলে বাজার চাঙ্গা হবে। কিন্তু ভোট পড়ে যাওয়াতে এ বছর চৈত্রের বাজার মন্দা থাকবে। এতে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। এই মন্দা কীভাবে কাটাবে তা নিয়ে চিন্তিত হকাররা। উত্তর কলকাতার হাতিবাগানেও চৈত্র সেলে ভিড় থাকে। ক্রেতাদের ভিড়ে হাতিবাগান বাজার এলাকায় পথ চলা যায় না। সেলের সময় ক্রেতাদের চাপ এমন থাকে যে এই এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। এবার অবশ্য হাতিবাগানের ব্যবসায়ীদের সেই ব্যস্ততা থাকবে না বলে মনে করছেন হকাররা।”
হাতিবাগান বিধান সরণি হকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অমল সাহা বলেন, “লকডাউন থেকেই আর্থিক ক্ষতি বহন করে চলছি। ব্যবসা চালু হলেও বাজার নেই। পুজোতে কিছুটা ব্যবসা চলেছে। তারপর থেকে বিক্রিবাটা নেই। পুজোর পর চৈত্র সেলে বাজার ভাল থাকে। কিন্তু এ বছর ভোট থাকায় সে বাজারটাও মাঠে মারা যাবে।”