বিধান নস্কর, সল্টলেক: সঙ্গিনীকে নিয়ে জয়রাইডে বেরিয়ে সিগন্যাল ভেঙে এক ব্যক্তিকে ধাক্কা। পথ দুর্ঘটনায় জখমকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত ট্রাফিক পুলিশ। তাঁকে মারধর মদ্যপ তরুণ-তরুণীর। নিউটাউনের ইকোপার্কের কাছে বন্দের মোড়ে উত্তেজনা।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৭টা ১৫ মিনিট। কদমপুকুর থেকে মেইন রোড পেরিয়ে যাত্রাগাছি অটোস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিলেন পেশায় মিষ্টির দোকানের কর্মচারী গৌতম কর্মকার। বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি ঝালিগাছির বাসিন্দা। পর পর দুটি সিগন্যাল লাল থাকায় তিনি রাস্তা পারাপারের চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় নারকেল বাগানের দিক থেকে দ্রুত গতিতে ইকোপার্কের দিকে আসছিল দুটি বাইক।
[আরও পড়ুন: কোলে বসিয়ে মোবাইল চার্জ, বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন অণ্ডকোষ]
বন্দের মোড় সিগন্যাল ভাঙে বাইক দুটি। ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারে। বাইকের ধাক্কায় গৌতমবাবু ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। সেই সময় ট্রাফিক সিগন্যালে থাকা কনস্টেবল পলাশ বৈদ্য একটি বাইক ধরার চেষ্টা করেন। তখন পাশের বাইকের যুবক-যুবতী নেমে ওই ট্রাফিক কনস্টেবলকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর পা, হাতে এবং চোখের নিচে আঘাত লাগে। অন্য বাইক আরোহীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত স্থানীয় বাসিন্দা। কাছেই ইকোপার্ক থানা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। ট্রাফিক কনস্টেবলকে যে যুবক মারধর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তিও হয়। বারবার সে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টাও করে। পরে তাকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।