অর্ণব আইচ: ভোর পর্যন্ত মদের আসর। বরং বলা যায়, আলো ফোটার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত। তার সঙ্গে পার্টিতে হুল্লোড়। এই অবস্থায় অনেকেই পছন্দ ‘সেলফ ড্রাইভিং’। আর তা নিয়েই শীতের ভোর ও সকালে অতিরিক্ত সতর্কতা পুলিশের।
পুলিশ ও আবগারি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচতারা হোটেলের নাইট ক্লাবগুলি ভোর পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। আর সেই সুযোগ গ্রহণ করছে শহরের প্রত্যেকটি পাঁচতারা হোটেলের নাইট ক্লাবই। একই সঙ্গে শহরের পানশালাগুলিও রাত তিনটে পর্যন্ত খোলা রাখা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই আবগারি দপ্তরের কাছে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। সেই ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, নাইট ক্লাব ও পানশালাগুলি বড়দিনের আগে থেকেই নিতে পারে এই সুযোগ। নববর্ষ ও তার পরেও এই সুযোগ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
বড়দিনের আগে থেকেই নাইট ক্লাবগুলিতে জমে ওঠে ভিড়। তার উপর আবার শহরের একাধিক পাঁচতারা হোটেলে জমে ওঠে বিদেশি ডান্সারদের নাচ। অনেকেই আবার সারাদিনের কাজকর্ম সেরে একটু দেরি করেই পানাশালায় ঢোকেন। পুলিশের ধারণা, অনেকেই পানশালা বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত মদ্যপান করবেন। আবার অনেকে পানশালা বন্ধ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত পানীয়ের অর্ডার দেন। সেই ক্ষেত্রে হোটেলগুলি রাত তিনটে ও নাইট ক্লাবগুলি ভোর পাঁচটা পর্যন্ত মদ বিক্রি করবে। যদিও রাজ্য আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই সময়ের বাইরে পানশালা বা নাইট ক্লাব খোলা থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইমতো ভোররাত পর্যন্ত প্রত্যেকটি পানশালা ও নাইট ক্লাবের উপর নজরদারি চালানো হবে।
[ পাঁচ রাজ্যের ফলে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি, স্বীকার করলেন দিলীপ ]
এর আগেও দেখা গিয়েছে মদ্যপান করে নাইট ক্লাব থেকে বেরনোর পর নেশাতুর অবস্থায় অনেকের গাড়ি চালানোর প্রবণতা থাকে। মদের প্রভাবে কেউ গাড়ি চালাতে চালাতে ঝিমিয়ে পড়েন। আবার অনেকেই প্রচণ্ড গতিতে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই বড়দিনের সময় থেকে নববর্ষ পর্যন্ত সকালেও বেপরোয়া গাড়ি আটকাতে পুলিশ অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, রাতের মতো এবার সকালেও শহরের বেশ কিছু রাস্তা গার্ডরেল দিয়ে আটকানো হবে। বিশেষ করে যে রাস্তাগুলি দিয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা রয়েছে, সেই রাস্তাগুলির উপর বেশি নজর থাকছে পুলিশের। ইএম বাইপাস, রেড রোড, ডায়মন্ডহারবার রোডের কিছু অংশ, জেমস লং সরণি, স্ট্র্যান্ড রোডের মতো কিছু রাস্তার উপর থাকছে বেশি নজর। বিভিন্ন জায়গায় ব্রেথ অ্যানালাইজার নিয়ে পুলিশ তৈরি থাকছে। পার্ক স্ট্রিট-সহ যে পাঁচতারা হোটেলগুলির পানশালা ও নাইট ক্লাব ভোর পর্যন্ত খোলা থাকছে, সেগুলির বাইরে থাকছে পুলিশের টিম। প্রয়োজনে গাড়ির চালককে ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়াও ভোররাত ও সকালেও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ হাতের মুঠোয় ‘স্কিমার’, পুলিশের জালে এটিএম জালিয়াতির নয়া চক্র ]
The post রাতভর নাইট ক্লাবে হুল্লোড়? বেপরোয়া ড্রাইভিং বন্ধে সকালেও নজরদারি পুলিশের appeared first on Sangbad Pratidin.