সুব্রত বিশ্বাস ও সুরজিৎ দেব: লাইনে ফাটলের জের। কর্মব্যস্ত দিনে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় বন্ধ শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখার ট্রেন চলাচল। চূড়ান্ত ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের। বিক্ষোভ শুরু করেছেন তাঁরা।
সোমবার বিকেলে ডায়মন্ড হারবার থেকে শিয়ালদহের দিকে রওনা দিয়েছিল লোকাল ট্রেনটি। ট্রেন ছাড়ার খানিক পরই ৪টে ৫৪ মিনিট নাগাদ গুরুদাস নগর স্টেশনের কাছে লাইনে ফাটলের জন্য দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। ডায়মন্ডহারবারের রামচন্দ্রপুরের কয়েকজন যুবক বিকেলে ফুটবল খেলে রেললাইন ধরে হেঁটে ফিরছিলেন। তাঁরাই লক্ষ করেন রেললাইনের ফাটলটি। বিপদ আঁচ করে তাঁরাই লাল জার্সি নাড়িয়ে সতর্ক করেন চালককে। তখনই ট্রেনের গতি কমান চালক। লালবাটির রেলগেটের কাছে এসে মাঝপথেই পুরোপুরি দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ওই যুবকদেরই কয়েকজন স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেল কর্মীরা। শুরু হয় মেরামতির কাজ। ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি। তবে বাড়ি ফেরার সময় এহেন দুর্ভোগের শিকার হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে হোমগার্ড নিয়োগে ‘দুর্নীতি’, শুভেন্দুর অভিযোগের পালটা জবাব দিল তৃণমূল]
শিয়ালদহগামী (Sealdah) আপ ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। উলটোদিকে শিয়ালদহ থেকে দক্ষিণের শাখার ট্রেন পরিষেবাও ব্যাহত হয়ে পড়ে। ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। প্রতিবেদনটি লেখার সময় সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ফিশপ্লেট বসিয়ে মেরামতি করে কতক্ষণে পরিষেবা স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে, তাও নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি রেলের তরফে।
তবে বলা হচ্ছে শীতকালে মাঝেমধ্যেই লাইনে ফাটল দেখা দেয়। লাইন তৈরির সময় যে পরিমাণ অক্সিজেন দরকার, সেই পরিমাণ অক্সিজেন থাকে না বলেই ফাটল ধরা পড়ে। প্রাথমিক ভাবে ফিশপ্লেট লাগিয়ে ওয়েলডিং করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তাই করা হচ্ছে। যদিও এই ফাটল বিরাট কোনও বিষয় নয়। দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু দিনভর কাজের পর বাড়ি ফেরার সময় এমন ঘটনায় বিরক্ত যাত্রীরা।