সুব্রত বিশ্বাস: এবার পাহাড়ই হাজির হচ্ছে মহম্মদের কাছে। যাত্রীর কাছেই এবার পৌঁছে যাচ্ছে খোদ ‘টিকিট বুকিং সিস্টেম’। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি।
টিকিট কাটতে কাউন্টারের বাইরে লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার দিন শেষ। যাঁরা এই ঝক্কি এড়াতে চান, সেই সব যাত্রীর ‘মুখোমুখি’ হচ্ছেন কমার্শিয়াল ক্লার্ক। তাঁকে যে কোনও মাধ্যমে অর্থ বিনিময় করলেই তিনি যাত্রীর হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন টিকিট। এজন্য তিনি ব্যবহার করছেন ‘হ্যান্ডহেল্ড টিকিট ডিভাইস’ এবং ট্যাব। গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে কাকদ্বীপ ও নামখানা স্টেশনে প্রথম এই পরিষেবা চালু করল রেল।
[আরও পড়ুন: রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’র আগেই বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট, থাকছে না তৃণমূল?]
নতুন জিএম মিলিন্দ দেওসকর এই পরিষেবা চালু করেন। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার সৌমিত্র মজুমদার। তিনি বলেন, একেবারে নতুন এই সুবিধাজনক পদ্ধতিতে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। টিকিট কাউন্টারের ভিড়, এটিভিএম মেশিন ব্যবহারে অদক্ষ, কিউআর কোড ব্যবহারে অক্ষম, এই ধরনের যাত্রীদের জন্য খুব সুবিধাজনক পদ্ধতি এটি।
তবে এখনই ভিড় এড়াতে সবাই এই পরিষেবা নিতে পারবেন না। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কাকদ্বীপ এবং নামখানায় বর্তমানে অতিরিক্ত ভিড়। তা এড়াতেই পূর্ব রেল প্রথম এই ভ্রাম্যমাণ ইউটিএস পরিষেবা চালু করেছে। ছ’টি হ্যান্ডহেল টিকিট ডিভাইস মেশিন এই মুহূর্তে কাজ করছে। তবে আগামী দিনে এই পরিষেবা পুজো ও বিভিন্ন উৎসবে প্রয়োজনীয় স্টেশনগুলিতে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।