সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদে বহাল হওয়ার আগেই ক্ষমতার অপব্যবহার, ভুয়ো শংসাপত্রে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। ট্রেনি IAS পূজা খেদকারকে নিয়ে যখন গোটা দেশে নিন্দার ঝড় বইছে, তখন 'গুণধর' মেয়ের হয়ে সাফাই দিলেন বাবা দিলীপ খেদকার। তিনি দাবি করলেন, কোনও দোষ ছাড়াই কেবল অভিযোগ এনে পূজাকে হেনস্তা করা হচ্ছে।
IAS মেয়েকে নিয়ে হাজারও অভিযোগ প্রসঙ্গে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দিলীপ জানান, আধিকারিক হিসেবে বসার জন্য ঘর চাওয়া দোষের হতে পারে না। দিলীপ বলেন, "আমার মেয়ে কোনও অন্যায় করেনি। একজন মহিলা বসার জায়গা চাওয়া অন্যায়? বিষয়টি বিচারাধিন এবং কমিটি গঠিত হয়েছে সত্যাসত্য বিচারে। আসুন আমরা সবাই চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা করি। এটুকুই আমি বলতে পারি যে একজন ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টিকে বিতর্কিত করে তুলছেন।" কে সেই ষড়যন্ত্রী? নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি দিলীপ।
[আরও পড়ুন: চাকরি হারিয়ে নতুন দায়িত্ব! কোচবিহার তৃণমূলের সম্পাদক পরেশকন্যা অঙ্কিতা]
প্রসঙ্গত, প্রবেশনারি বা ট্রেনি IAS অফিসার পূজা খেদকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বন্যা। অভিযোগ উঠেছে, আইএএস অফিসার হওয়ার জন্য আংশিকভাবে দৃষ্টিশক্তিহীন ক্যাটেগরি এবং ওবিসি ক্যাটাগরির আওতায় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন তিনি। প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, তা নিচ্ছিলেন তিনি।
নিজের অডি গাড়িতে লালবাতি এবং মহারাষ্ট্র সরকারের বোর্ড লাগিয়ে ঘুরতেন। যদিও সেই অনুমতি নেই প্রবেশনারি আইএএস অফিসারদের। শুধু তাই নয়, অ্যাডিশনাল কালেক্টর অজয় মোরে যখন থাকতেন না, তখন তাঁর চেম্বারের একাংশ দখল করতেন। অ্যাডিশনাল কালেক্টরের অনুমোদন ছাড়াই তাঁর অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
[আরও পড়ুন: মানিকতলা তৃণমূলের দখলেই, বিপুল ভোটে জয়ী সাধনজায়া সুপ্তি]
এখানেই শেষ নয়। রেভিনিউ অ্যাসিসট্যান্টকে পূজা নির্দেশ দেন, লেটারহেড দিতে হবে তাঁকে। ঘরের বাইরে রাখতে হবে নেমপ্লেট। আরও জানিয়ে দেন, সিনিয়ার আধিকারিকদের মতোই সুযোগ সুবিধা দিতে হবে তাঁকে। আবদারের এই ঘনঘটার মধ্যেই পূজাকে ওয়াশিম জেলায় বদলি করা হয়। অভিযুক্ত তরুণীর অবশ্যি এই বিষয়ে হেলদোল ছিল না।