সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরফের শুভ্র শীতলতায় নিজেকে সাজিয়ে দণ্ডায়মান কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kangchenjunga)। তারই গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে তিস্তা (Teesta River)। আয়নার মতো স্বচ্ছ জলের স্রোতে ভালবেসেই ধরা দিচ্ছে পাহাড়ের প্রতিরূপ। প্রকৃতির এই দুই সৃষ্টির অপূর্ব মিলনের সাক্ষী কালিম্পংয়ের (Kalimpong) ছোট্ট গ্রাম ভালুখোপ (Bhalukhop)।
কালিম্পং শহরের ভিড়ভাট্টার বেশ কিছুটা দূরে নির্জনতার আদর্শ ঠিকানা ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রাম। যেখানে এভাবেই তিস্তা নদী আর কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়ের প্রেমের কাহিনি শোনাবে প্রকৃতি। পর্যটকদের কাছে এখনও তেমন পরিচিতি পায়নি ভালুখোপ। তবে ট্রেকারদের অন্যতম প্রিয় স্টপেজ। সেই সুবাদেই ধীরে ধীরে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে।
[আরও পড়ুন: ট্রেন নেই বলে মনখারাপ? উৎসবের মরশুমে NBSTC’র বিশেষ বাসেই পাড়ি দিন উত্তরবঙ্গে]
কী কী রয়েছে?
পাহাড়ের কোলে প্রায় ৫,৩০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ছোট এই গ্রাম সবুজ চাদরে মোড়া। অল্প কয়েকটি বাড়ি রয়েছে।
কাছেই রয়েছে আলপাইন ফরেস্ট। সেখানে রয়েছে সুন্দর জলপ্রপাত। চাইলে দেখেই আসতে পারেন।
পাখি দেখার শখ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের কাছে আদর্শ জায়গা ভালুখোপ। সঙ্গের ক্যামেরাটি নিয়ে পৌঁছে যেতেই পারেন। হিমালয়ের সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিরল পাখিদেরও বাস এখানে। চাইলে ফ্রেমবন্দি করতেই পারেন।
ভালুখোপ থেকে অল্প দূরত্বেই রয়েছে ডেলো পার্ক, ক্যাকটাস নার্সারি, দূরপিন দাঁড়া পাহাড়। সেখানেও ঘুরে আসতে পারেন।
অথবা নিজের মতো গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন পায়ে হেঁটে।
কীভাবে যাবেন?
ট্রেনে গেলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে যাওয়া যায়।
বিমানে গেলে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য ভালুখোপে হোম-স্টের ব্যবস্থা রয়েছে। অত্যাধুনিক টয়লেট থেকে গরম জল, সুস্বাদু খাবার – সমস্ত সুবিধাই পাওয়া যাবে অর্থের বিনিময়ে। নিজের মতো উপভোগ করতে পারবেন। এমনিতে সারা বছরই ভালুখোপে যাওয়া যায়। তবে শীতকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য অতুলনীয়। তাই পুজোর পর প্ল্যানটা করেই ফেলতে পারেন।