সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাছে হোক বা দূরে, বেড়াতে যাওয়া সবসময়ই আনন্দের। কিন্তু অসাবধানতায় তা উদ্বেগজনকও হয়ে উঠতে পারে। বিপদ আপদ বলে-কয়ে আসে না। তাই আগে থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনেকক্ষেত্রে বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আনন্দের মজাটাই ভণ্ডুল হয়ে যায়। তখন আমরা ভাগ্যকেই দোষারোপ করি। এই ধরনের ভুলগুলো একপ্রকার মিথের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এইসব প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণাকে আমল না দিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এমন ৫টি ভুল ধারণা রয়েছে যা এড়িয়ে যেতে পারলে আপনার ভ্রমণ আরও আনন্দের হয়ে উঠবে। কী সেগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
২. বেড়াতে গিয়ে বিলাসবহুল রিসর্টে উঠেছেন? হোটেলের পরিচ্ছন্নতা ও ব্যবস্থা দারুণ চোখ ধাঁধানো। কিন্তু দেখলেন হঠাৎ করে পেটের সমস্যা শুরু হয়েছে। এতে কি নিজের ভাগ্যকে দোষ দেবেন? পাহাড়ে তো আকছার পেট খারাপের মতো সমস্যা ঘটে। অক্সিজেনের লেভেল কমে যাওয়ায় মাথা ঘোরা বা বমিও দেখা দেয়। এমনকী বয়স্করা শ্বাসকষ্টেও ভোগেন। কাজেই এসব নিয়ে অমূলক ভাবনা মনে স্থান দেবেন না। তাছাড়া রিসর্টের কলে কি ফিল্টার জল পেয়েছেন? হয়তো ওই জলের কারণেই আপনার পেট খারাপ দেখা দিয়েছে!
৩. একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে ৩০-৭০% ট্র্যাভেলার্স ডারিয়াতে ভোগেন। এর জন্য বেড়ানোর জায়গার জলই দায়ী।
৪. অনেক সময় আমরা বেড়ানোর প্যাকিং লিস্টে ওষুধ রাখতে ভুলে যাই। তাই প্যাকিং লিস্ট তৈরির সময় সজাগ থাকুন। প্রয়োজনীয় ওষুধ থেকে শুরু করে ওয়ারেস সবই সঙ্গে রাখুন। ভ্রমণে গিয়ে শেষে অসুস্থ হলে নিজের ভাগ্যকে না দুষে আগে থেকে প্রস্তুতি নিলেই এড়াতে পারবেন এই ধরনের সমস্যা।
৫. অনেকে মনে করেন বিমানে এয়ার পিউরিফায়ারগুলোর জন্য আলাদা করে মাস্ক পড়ার আর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বোর্ডিং ও বিমান থেকে নামার সময় মাস্কের বিশেষ প্রয়োজন হয়। কারণ এসব ক্ষেত্রে যদি কোনও রোগী আপনার আশেপাশে থাকেন, তাহলে সচেতন হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। খামোখা বেড়াতে গিয়ে নিজেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলবেন কেন?
