সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গল, বন্যপ্রাণ কি আপনাকে আকর্ষণ করে? বন্যপ্রাণীদের গতিবিধি চাক্ষুস করতে চান? তবে আপনার জন্য রয়েছে সুখবর। জঙ্গল পর্যটনে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে শুরু হয়েছে চিতা সাফারি। এই সাফারির মাধ্যমে দ্রুততম বন্যপ্রাণীকে খুব কাছ থেকে দেখতে পারবেন আপনি।
মধ্যপ্রদেশের শিওপুর জেলায় কুনো ন্যাশনাল পার্ক। গত ২০২২ সালে এখানে প্রথম চিতা আনা হয়। বর্তমানে ১৬টি চিতা রয়েছে সেখানে। মোট তিনটি পয়েন্ট টিকটোলি, আহেকা এবং পিপলবাওড়ি থেকে শুরু হবে সাফারি। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, একেবারে ভোরে অথবা সন্ধের মুখে চিতা সাফারিতে যাওয়া উচিত। চিতা সাফারির খরচও কিন্তু খুব বেশি নয়। জিপসি সাফারি (সর্বোচ্চ ৬ জন) খরচ পড়বে প্রতি গাড়ি পিছু সাড়ে ৪ হাজার টাকা। ব্যক্তিগত গাড়ি প্রতি খরচ ১ হাজার ২০০ টাকা। সপ্তাহান্তে কিংবা পর্যটনের মরশুমে খরচ সামান্য বাড়লেও বাড়তে পারেন। অনলাইনে কুনো ন্যাশনাল পার্ক সাফারির বুকিং পোর্টালে সাফারি বুক করা যাবে।
এবার জেনে নিন ঠিক কোন সময় চিতা সাফারির জন্য আদর্শ। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া তুলনামূলক ভালো থাকে। দৃশ্যমানতাও থাকে যথেষ্ট ভালো। তাই সেই সময় চিতা সাফারির জন্য আদর্শ।
কুনোয় চিতা সাফারি করতে গেলে গোয়ালিয়র অথবা কোটায় কোনও গেস্টহাউসে থাকতে পারেন। বহু জায়গাই প্যাকেজের সঙ্গে চিতা সাফারিও যুক্ত করছেন, সেই অনুযায়ী কথা বলে নিতে হবে।
চিতা সাফারিতে এই নিয়মগুলি মানতেই হবে:
* ভুলেও জঙ্গলে আওয়াজ করবেন না।
* জোরাল আলো জ্বালাবেন না।
* অযথা বন্যপ্রাণীকে বিরক্ত করবেন না।
* ক্যামেরার ফ্ল্যাশ জ্বালাবেন না। তাতে বন্যপ্রাণী বিরক্ত হয়ে হামলা করতে পারে।
* যেকোনও বিপদ এড়াতে অবশ্যই গাইডের পরামর্শ মেনে চলুন। অত্যুৎসাহে ভুল করলে বড় বিপদ হতে পারে।
