সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের বেলাতে তেমন খুব একটা গরম নেই আর। রাত্রিবেলায় কমছে পারদ। এমন আবহাওয়ায় রোদ মেখে উত্তুরে হাওয়াতে অনেকের মনই উড়ু উড়ু। পায়ের তলায় সরষে রেখে অস্থির হয়ে ওঠে মন। অতশত না ভেবে বরং বেরিয়ে পড়ুন। নভেম্বরেই কি ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? খুব ভালো। শীত শীত ভাবটাও থাকবে। আবার পিক সিজন না থাকায় খরচ থাকবে সাধ্যের মধ্যেই। কিন্তু কোথায় যাবেন? পাহাড় থেকে সমুদ্র, রইল সেরা সাত জায়গার ঠিকানা।
মানালি, হিমাচল প্রদেশ: এই সময় মানালিতে বরফ পড়া শুরু হয়। পাইন গাছের ভিড়ে গরম কফি হাতে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ চাট্টিখানি কথা নয়। এমনকী সোলং ভ্যালিতে মিলবে স্কি করার সুযোগ।
দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ: 'পাহাড়ের রানি' দার্জিলিংয়ের প্রভাত দেখার সৌভাগ্য হাতছাড়া করবেন না। কাঞ্চনজঙ্ঘার ওপর সূর্যোদয় এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কুয়াশার মধ্যে টয় ট্রেনে চড়া এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
উটি, তামিলনাড়ু: এখানে ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে সবুজ প্রকৃতি আপনাকে স্বপ্নের রাজ্যে পৌঁছে দেবে। ইউক্যালিপটাস গাছের গন্ধ এবং চা বাগান দেখতে পাওয়ার অভিজ্ঞতা মিস না করাই ভালো। আর যাই করুন না কেন উটি লেকে বোটিং ও স্থানীয় চকোলেট না খেয়ে ফিরবেন না যেন!
গোয়া: নভেম্বরে গোয়ার পরিবেশ একদম অন্যরকম হয়। সোনারঙা সমুদ্র তীরে পার্টি কিংবা শান্ত আরমবোল বিচে যোগা—দুটোর যেকোনও একটা মনপসন্দ আপনি বেছে নিতে পারেন। এই সময় বর্ষায় বন্ধ হওয়া বিচ শ্যাকগুলি আবার চালু হয়ে যায়।
গোকর্ণ, কর্ণাটক: যাঁরা শান্ত সমুদ্রের খোঁজে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান, তাঁদের জন্য গোকর্ণ সেরা। এখানে প্রকৃতির নিস্তব্ধতা উপভোগ করার মতো। ওম বিচ ও কুডল বিচ এই সময়ে খুব সুন্দর দেখতে লাগে।
ভারকলা, কেরালা: আরব সাগরের তীরে পাহাড়ের ওপর তৈরি এখানকার ক্যাফেগুলো বিখ্যাত। এখানে আয়ুর্বেদিক ম্যাসাজ নেওয়া যায়। সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য আপনাকে অন্য জগতে নিয়ে যাবে।
বারাণসী, উত্তরপ্রদেশ: কার্তিক পূর্ণিমায় এখানকার ঘাটগুলো হাজার হাজার প্রদীপের আলোয় ঝলমল করে। গঙ্গার জলে এই আলোর প্রতিচ্ছবি এক অদ্ভুত স্বর্গীয় দৃশ্য তৈরি করে। পারলে শীত পড়ার আগেই ঘুরে আসুন। নভেম্বরে এখানে পালিত হয় দেব দীপাবলি।