সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমিয়ে পুজো উপভোগ করেছেন। হালকা শীত পড়তেই এবার ক'দিনের ছুটি নিয়ে একা কিংবা পরিবার অথবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান? এখনও যদি গন্তব্য চূড়ান্ত না করে থাকেন, তাহলে দাঁড়ান। মনকাড়া দৃশ্য আর প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে বেশি গ্যাঁটের কড়ি খরচের প্রয়োজন নেই। হাতের কাছেই স্বর্গের সন্ধান! কোথায়? অসমের জোরহাট। পর্যটকদের ভালোবাসায় সম্প্রতি বার্লিন ও ফুকেটকেও পিছনে ফেলেছে এই স্থান।
গ্লোবাল ট্র্যাভেল মার্কেটপ্লেস স্কাইস্ক্যানার সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, আন্তর্জাতিক শহরগুলিকে পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের অসমের জোরহাট। মনে করা হচ্ছে ২০২৬ সালের সবচেয়ে বেশি মানুষের গন্তব্য হয়ে উঠতে চলেছে এই স্থানটি। সার্চ ইঞ্জিনে ৪৯৩% মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন স্থানটিতে ভ্রমনের জন্য।
জোরহাটের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পর্যটকদের মূল আকর্ষণের জায়গা। এখানে ব্রহ্মপুত্রের তীরে অবস্থিত মাজুলি দ্বীপ বিশ্বের বৃহত্তম নদী দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। নব্য বৈষ্ণব সংস্কৃতির কেন্দ্র হল মাজুলি। অসংখ্য সত্র বা বৈষ্ণব মঠ এখানে রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী অসমীয়া শিল্প, নৃত্য এবং সঙ্গীত প্রচারের প্রাণকেন্দ্র এই মঠগুলি। পাশাপাশি রয়েছে রয়েছে গিবন বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ২১৯ প্রজাতির পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপের আবাসস্থল এই অভয়ারণ্য। ২১ বর্গকিলোমিটার এলেকা জুড়ে দেখা মিলবে চিতাবাঘ, হাতি, বন্য শুয়োর প্রভৃতি।
১৯১১ সালে প্রতিষ্ঠিত টোকোলাই চা গবেষণা কেন্দ্রটি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দ। এটি বিশ্বের সর্বৃহৎ চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি ধর্মীয় স্থান হিসেবে ঢেকিয়াখোয়া বর্ণমঘরের নাম না করলেই নয়। এটি আসামের জোড়হাট জেলার একটি বিখ্যাত নামঘর। ১৪৬১ সালে শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের শিষ্য শ্রী শ্রী মাধবদেব এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আসামের 'একসরণ' ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তাই, বলাইবাহুল্য হাতের নাগালের মধ্যেই যখন কম খরচে স্বর্গের সন্ধান পাচ্ছেন, তখন আর দেরি কেন? আজই লোটাক্মবল নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।