সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্যটকদের নয়া ডেস্টিনেশন অযোধ্যার রামমন্দির। ইতিহাস, রাজনীতির কচকচানি বাদ দিলে উত্তরপ্রদেশ পর্যটনের নয়া দিগন্ত খুলে দিল 'রামলালা'র ঘর। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলছেন, এবার সব রাস্তা মিশবে অযোধ্যায়। নতুন সমীক্ষা অন্তত তাঁর দাবিতেই সিলমোহর দিচ্ছে। কী বলছে সমীক্ষা?
ব্রোকারেজ সংস্থা জেফারিজ বলছে, আগামী দিনে রামমন্দিরে বছরে প্রায় ৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ পাঁচ কোটি পুণ্যার্থীর আনাগোনা হবে। যা ভ্যাটিক্যান সিটি, মক্কা এমনকী পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরের চেয়েও বেশি। সেই পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ঢেলে সাজানো হচ্ছেঅযোধ্যার পরিকাঠামোও। তথ্য বলছে, বর্তমানে বছরে পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে তিন থেকে সারে তিন কোটি পর্যটক যাতায়াত করেন। প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি ভক্ত যান তিরুপতি মন্দিরে। খ্রিস্টানদের পুণ্যভূমি ভ্যাটিকান সিটিতে প্রতি বছর ভিড় জমান প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ। মক্কায় হজ করতে যান প্রায় ২ কোটি পুণ্যার্থী। সেই সমস্ত রেকর্ড আগামী দিনে ভেঙে দিতে চলেছে অযোধ্যার রামমন্দির। অন্তত তেমনটাই বলছে জেফারিজ।
[আরও পড়ুন: ‘ভেবেচিন্তে কথা বলুন…’, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনই কেন এমন কথা মিঠুনের মুখে?]
ব্রোকারেজ সংস্থার দাবি, অযোধ্যা আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠছে। যার জন্য ইতিমধ্যে ৮৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে বিমানবন্দর। প্রায় ১০ লক্ষ বিমানযাত্রী ওঠানামা করতে পারবেন সেই বিমানবন্দর। ঢেলে সেজেছে রেলওয়ে স্টেশন। ১ লক্ষ ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। শহরের রাস্তাঘাট থেকে শহরের গলিঘুঁজিও হয়েছে চকচকে। উন্নত করা হয়েছে সড়কপথও। ইতিমধ্যে সে শহরের ১৭টি হোটেলে রয়েছে ৫৯০টি ঘর। আরও ৭৩টি হোটেল তৈরি হওয়ার পথে।
হিসেব বলছে, ভারতীয় অর্থনীতির ৭ শতাংশ আসে পর্যটনক্ষেত্র থেকে। যা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার। নয়া রিপোর্ট বলছে, অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হওয়ার পর সেই আয় আরও বাড়বে। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের কর বাবদ ২৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা আয় করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।