স্টাফ রিপোর্টার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় এই প্রথম পর্যটন ব্যবসা শুরু করল পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম। এই নিগম লিমিটেডের আওতায় রাজ্য জুড়ে যেসব কটেজ, রিসর্ট রয়েছে তাতে যুক্ত হয়েছে পুরুলিয়ার মুরগুমা। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের অর্থে নির্মিত মুরগুমা পর্যটন প্রকল্প ওই নিগমের তত্ত্বাবধানে মুরগুমা টুরিজম প্রপার্টি নামে তুলে ধরা হয়েছে।
২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পার্ক স্ট্রিট থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হয় এই পর্যটন প্রকল্পের। তার পর ২১ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেড এই প্রকল্প চালু করে। গত সাড়ে চার মাসেই মুরগুমার ট্যুরিজম প্রপার্টি কয়েক লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে। ভরা বর্ষায় এখানে পর্যটকের সংখ্যা যেমন বাড়ছে। তেমনই পুজোর বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরে জারি কমলা সতর্কতা]
বনমহলের এই জেলায় রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের কটেজ থাকলেও পর্যটন নিগমের ব্যবসা এই জেলায় প্রথম। পুরুলিয়ার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ওই পর্যটন প্রকল্প উদ্বোধন হওয়ার পরেই তা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের আওতায় চলে গিয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানেই ওই প্রকল্প চলছে।"
কেনকেচে পাহাড়ের কোলে একেবারে ছবির মতো সাজানো ওই পর্যটন প্রকল্প। একনজরে দেখে মনে হয় ক্যানভাসে আঁকা ছবি। বর্তমানে মোট ২৬টি রুম রয়েছে। তার মধ্যে এসি ডিলাক্স কটেজ ও এসি সুইট আছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে সুইমিং পুল। জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার এই প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে নিগম। খুব শীঘ্রই চালু হবে ওয়াই-ফাই ব্যবস্থা। পুজোর আগে নেটওয়ার্ক সমস্যা মিটে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আগে এই এলাকা ছিল মাওবাদীদের করিডর। ২০১০ সালের নভেম্বরে এই মুরগুমা এলাকায় যৌথ বাহিনীর গুলিতে দুই মাওবাদীর মৃত্যু হয়। তাছাড়া মাওবাদী হামলা হয় মুরগুমা বিট অফিসে। এই মুরগুমার ঠাকুরচাটান পাহাড়ে মাও শিবিরও ছিলো। একদা সেই মাও মুক্তাঞ্চলেই ব্যবসা করছে পর্যটন উন্নয়ন নিগম।