সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়ে ঘেরা এক গ্রাম। চারপাশে পাইন, ওক, ম্যাগনোলিয়া, রডোডেনড্রনের বাহার। এর মাঝে রয়েছে এক শান্ত সুন্দর নদী। আপন বনে বয়ে গিয়ে পাহাড়ের বুক চিরে। একটু উপর থেকে দেখলে মনে হয় যেন প্রকৃতির ক্যানভাসে নিখুঁত তুলির টানে আঁকা কোনও সুন্দর ছবি। এমনই দার্জিলিং জেলার শ্রীখোলার (Srikhola) রূপ। এই রূপের সাক্ষী থাকতে একবার অন্তত ঘুরে আসতেই পারেন এখান থেকে।
ছবি: সংগৃহীত
পাহাড়প্রেমী বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের জায়গা উত্তরবঙ্গ। যেখানে ছাদের ধারের রেলিংয়ের নস্টালজিয়া বার বার মনকে মুগ্ধ করে দেয়। এই মুগ্ধতাকে আরও বাড়ি দেবে সুন্দরী শ্রীখোলা। সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্কের পাদদেশেই অবস্থিত ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রাম। এখান দিয়ে যে নদী বয়ে গিয়েছে তার নামও শ্রীখোলা। আর এই নদীর উপরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে প্রায় দুশো বছরের ঝুলন্ত ব্রিজ। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
[আরও পড়ুন: ক্যাটরিনার জন্মদিনে একগুচ্ছ ছবি ফাঁস ভিকির, ক্যাপশনে উজার করলেন ভালোবাসা]
মানেভঞ্জন থেকে গুরদুম হয়ে যাঁরা সান্দাকফু ট্রেক করে যান, তাঁদের যাওয়ার রুটেই পড়ে শ্রীখোলা। আবার মানেভঞ্জন থেকে গোর্কি-রাম্মাম হয়ে ফালুট যাওয়ার পথেও পড়ে। সবুজে ঘেরা এই গ্রামে ক্ষণিকের বিশ্রাম নতন অক্সিজেন জোগায় যাযাবর মনে। এনজেপি, শিলিগুড়ি, বাগডোগরা বা দার্জিলিং থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায় শ্রীখোলা। রিমবিক হয়ে যেতে হয়।
ছবি: সংগৃহীত
অতিথিদের স্বাগত জানায় শ্রীখোলার শান্ত সুন্দর রূপ। নদীর উপরের ব্রিজটি ছবি বা ভিডিও তোলার জন্য আদর্শ। তবে নেপালের সীমান্ত এলাকা বলে এখানে নাকি ফোনের টাওয়ার পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। যদিও এমন প্রকৃতি পেলে ফোনের কথা ভুলে যেতেই পারেন। থাকার জায়গা অনায়াসে পেয়ে যাবেন। এখানকার বাসিন্দাদের ব্যবহার আপনাকে মুগ্ধ করবে। সঙ্গে পরিচয়পত্র অবশ্যই রাখবেন।