সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড় পছন্দ করেন? কিন্তু চেনা কোনও পাহাড়ি জায়গা আপনাকে সেভাবে টানে না। একটু অন্য ধরনের কোনও জায়গার খোঁজ করছেন? তবে আপনি অবশ্যই চলে যেতে পারেন মুক্তেশ্বরে। নৈনিতালের ছোট্ট শহর মুক্তেশ্বর। নৈনিতাল থেকে গাড়িতে করেই পৌঁছে যেতে পারেন মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরের এই জায়গায়। পাহাড়, ঝর্ণা আর জঙ্গল আপনার মন ভালো করে দেবে।
ছবি: সংগৃহীত
সবুজে মোড়া এক অসাধারণ প্রাকৃতিক জনপদ মুক্তেশ্বর। উত্তরাখণ্ডের এই জায়গাটি প্রাকৃতিক শোভা বৈচিত্রের দিক থেকে অতুলনীয়। ২,২৮৬ মিটার উঁচু এই জায়গার বেশিরভাগটাই ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউডের অন্তর্গত। ইনস্টিটিউটটি ১০০ বছরের পুরনো ও পশু চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্য সুপরিচিত। সংরক্ষিত এলাকা জুড়ে অরণ্য দেখতে লাগে দারুণ। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে মুক্তেশ্বর থেকে দেখা যায় দূরের গিরি শিখরগুলি। এর মধ্যে সুস্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে নন্দাদেবী, চৌখাম্বা, নন্দাকোট ও গৌরী পর্বত।
[আরও পড়ুন: হাতে সময় নেই? রইল ‘ওয়ান পট মিল’-এর রকমারি রেসিপি, স্বাদে-পুষ্টিতে ভরপুর ]
মুক্তেশ্বরের শিবমন্দির এক বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান। মন্দিরটি পাহাড়ি নির্জনতার মঝে অবস্থিত। এই অঞ্চলের খুব কাছেই রয়েছে 'চাউলি কি জালি'। মুক্তেশ্বর পাহাড়ের পশ্চিমাংশটি হঠাৎ করে এখানে শেষ হয়ে গিয়েছে তিন হাজার ফুট নিচের উপত্যকায়। এখানেই একটি বিশেষ জায়গায় প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে পাথর ক্ষয়ে সৃষ্টি হয়েছে আশ্চর্য ভাস্কর্য। যার পোষাকি নাম 'চাউলি কি জালি'। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয়। সন্ধ্যা নেমে এলে আলো জ্বলে ওঠে রামগড় ও আলমোড়া শহরে। দূর থেকে এই দৃশ্যও দেখার মতো।
ছবি: সংগৃহীত
মুক্তেশ্বরে বেড়াতে গেলে হিমালয় আর অসামান্য প্রকৃতি দেখেই কেটে যেতে পারে দিন কয়েক। এখানে রয়েছে পিডব্লিউডি-র বাংলো। এই বাংলোয় রাত্রিবাস করেছিলেন শিকারি তথা লেখক জিম করবেট। এছাড়াও বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। রক ক্লাইম্বিং, ট্রেকিং, ক্যাম্পিংও করতে পারেন।