ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় বিজেপির (BJP) শুদ্ধিকরণের কর্মসূচি ঘিরে শুক্রবারও দিনভর উত্তপ্ত রইল রাজ্য রাজনীতি। আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়া, ফুল ছড়ানোর মতো ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নতুন নির্দেশ জারি করেছেন, এবার থেকে স্পিকারের অনুমতি ছাড়া বিধানসভা চত্বরে কোনও বিক্ষোভ, ধরনা করা যাবে না। তবে বিজেপির এই শুদ্ধিকরণে আরও একটি বিষয় উসকে উঠেছে। গেরুয়া শিবিরের এই কাজে অপমানিত বোধ করেছেন শাসকদলের আদিবাসী (SC) বিধায়করা। তাঁদের মত, আম্বেদকর মূর্তির নিচে ধরনায় তাঁরাও শামিল ছিলেন। তাই ওই জায়গাতকে ‘অপবিত্র’ অ্যাখ্যা দিয়ে শুদ্ধিকরণের মতো কাজ আসলে তাঁদের অপমান করা।
জ্যোৎস্না মাণ্ডি, বীরবাহা হাঁসদারা বিধায়কের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীও। তাঁরা দুজনেই বিজেপির শুদ্ধিকরণ কর্মসূচিকে ‘নাটক’ বলে সরব হয়েছেন। উভয়েরই বক্তব্য, ”বাবাসাহেব আম্বেদকর আদিবাসীদের জন্য লড়েছেন। তাঁর মূর্তিকে এভাবে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ তো আমাদের অপমান। এক তো বিজেপি এসব করে নতুন নাটক দেখাচ্ছে। আর উনি (বিরোধী দলনেতা) বলছেন, ওইদিন যাঁরা আম্বেদকর মূর্তির নিচে বসেছিল, তাঁরা জায়গা অপবিত্র করেছেন। তাই আজ গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা তো আদিবাসী পরিবারের সন্তান। এটা আমাদের কাছে অপমানজনক।”
[আরও পড়ুন: ‘এত সাহস হয় কী করে?’, বিজেপির বিধানসভা শুদ্ধিকরণে মার্শালকে বকা স্পিকারের]
আদিবাসী আবেগ নিয়ে বীরবাহা, জ্যোৎস্নাদের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তথা বিজেপির এই কাজের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, ”শুভেন্দু তো আগেই বলেছিলেন, বীরবাহা হাঁসদা, দেবনাথ হাঁসদা – এঁদের পায়ের নিচে রাখেন। আগেই আদিবাসীদের এত অপমান করেছিলেন। আজ তিনি আম্বেদকর মূর্তির শুদ্ধিকরণ করে কী দেখাতে চাইলেন? কাদের জন্য কথা বলছেন? সবাই কি সব ভুলে গিয়েছে।” তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ২ ও ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ব্লকে ব্লকে দলীয় কর্মসূচিতে আদিবাসী বিষয়টি দিয়ে সরব হবেন দলের কর্মী, সমর্থকরা।