অর্ণব আইচ: আগেও একবার মা আর বাবাকে খুন করার চেষ্টা করেছিল পর্ণশ্রীর তরুণ দম্পতি রাজু ও স্নেহা সামুই। মা শম্পা চক্রবর্তীকে খুন করে সাইকেলে লাশ পাচারের চেষ্টার অভিযোগে ধৃত মেয়ে ও জামাইকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৪ আগস্ট মেয়ে-জামাই মিলে বৃদ্ধ মা,বাবাকে অজ্ঞান করে খুনের ছক কষে। সেইমতো শুরু হয় অপারেশন। তাঁদের চায়ের সঙ্গে চারটি করে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো হয়।
[আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি থেকে বাদ, ‘অপমানিত’ বৈশাখীর স্বামী]
কিন্তু ঘটনাচক্রে স্নেহার বাবা ভূপাল চক্রবর্তী অজ্ঞান হননি। সামান্য অচেতন হয়ে পড়েন মা শম্পা চক্রবর্তী। শেষ পর্যন্ত মেয়েই তাঁকে সুস্থ করে তোলে। কিন্তু পাশাপাশি খুনের জন্য প্ল্যান বি তৈরি করতে থাকে রাজু এবং স্নেহা। নিরাপত্তারক্ষী ভূপালবাবু রাতে ডিউটিতে যাওয়ায় মা একাই ছিলেন। সেই সুযোগেই মাকে খুনের ছক কষে মেয়ে স্নেহা ও তার স্বামী।
খুনের পর দেহটি লোপাট করে দেওয়ার জন্য এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি বাইক চায় রাজু সামুই। কিন্তু বাইক না পেয়ে অন্য এক বন্ধুর কাছ থেকে সাইকেল চায়। পরদিন ভোর পাঁচটার মধ্যে সাইকেলটি ফেরত দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। শাশুড়ির মৃতদেহ একটি বিশেষ জায়গায় ফেলে দেওয়ার ছক কষেছিল তারা। যদিও সাইকেল করে তা শেষপর্যন্ত অন্যত্র পাচার করতে পারেনি জামাই।
দুজনকে জেরায় পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, শম্পা চক্রবর্তীকে খুনের সময় তাঁর জামাই গলায় বেল্টের ফাঁস দেয়। মেয়ে ঘরের বাইরে গিয়ে নজর রাখে। মা চিৎকার করে উঠলে মেয়েই তাঁর মুখ চেপে ধরে। জামাই রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে তাঁর গলা কেটে ফেলে। পরিকল্পনা করেই যে এই খুন, তাতে পুলিশের সন্দেহ নেই। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর রাজু এবং স্নেহাকে লাগাতার জেরা করা হচ্ছে। তাদের বয়ানের ভিত্তিতে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে এই হত্যাকাণ্ডের জট খোলার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীদের ধারণা, যেভাবে পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজেদের অপরাধের কথা একে একে কবুল করছে অভিযুক্ত দম্পতি, তাতে খুব দ্রুতই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: সারদা মামলায় ফের সিবিআই দপ্তরে শুভাপ্রসন্ন, ৬ কোটির লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ]
The post স্বামীকে নিয়ে আগেও মাকে খুনের চেষ্টা করে মেয়ে, পর্ণশ্রী হত্যায় নয়া তথ্য পুলিশের হাতে appeared first on Sangbad Pratidin.