shono
Advertisement

কেন কাঁদতে কাঁদতে শুটিং ছেড়েছিলেন? ঘটনার উলটো দিক নিয়ে এবার ‘বিস্ফোরক’ তৃণা সাহা

শুটিং বিভ্রাট, নায়িকা সংঘাত... নিয়ে কী বলছেন অভিনেত্রী?
Posted: 09:37 AM Aug 05, 2023Updated: 09:37 AM Aug 05, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নায়িকা সংঘাত’ নিয়ে টলিপাড়া বর্তমানে বেজায় উত্তাল! সোহিনী সরকারের সঙ্গে বিবাদের জেরেই নাকি ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজের শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তৃণা সাহা। প্রযোজক কিংবা সহ-অভিনেতারা এপ্রসঙ্গে মুখ খুললেও তৃণা চুপই ছিলেন। এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

Advertisement

“প্রথমে মনে হয়েছিল, যা হয়েছে সেটা নিজেদের মধ্যেই থাকুক। কিন্তু পরে দেখলাম, লোকজন আমার চুপ থাকার সুবিধে নিচ্ছে। মিডিয়ায় আমার নামে মিথ্যে কুৎসা রটানো হচ্ছে। আমাকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। ঘটনার একটা দিকই সকলে জানতে পারছেন।” সেদিন মাতঙ্গীর ফ্লোর ছেড়ে কেন বেরিয়ে গিয়েছিলেন? জানালেন তৃণা সাহা।

অভিনেত্রীর কথায়, “যে কাজটা আমি করিনি কোনওদিন, সেটা কেন করলাম, এটাও তো ভাবার। আমাকে স্ক্রিপ্ট শুনিয়েছিলেন পরিচালক দীপাঞ্জনদা। শুরুতেই ওকে বলে দিয়েছিলাম যে, আমার আলাদা মেকআপ রুম লাগবে। ক্যামেলিয়ার সঙ্গে এর আগেও একটা কাজে এই সংক্রান্ত খুব খারাপ অভিজ্ঞতা ছিল। দীপাঞ্জনদা বলেছিলেন, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আলাদা মেকআপ আর্টিস্ট, অ্যাটেনডেন্ট আমি কিন্তু কিচ্ছু চাইনি। ওই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যে।”

তাহলে কী ঘটেছিল আদতে? তৃণা জানালেন, আগে বলা সত্ত্বেও প্রথমদিনের শুটিংয়ে আলাদা মেকআপ রুম তিনি পাননি। পরে আবাদা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। “কিন্তু শট দিয়ে ফেরার পর দেখি, অন্য একটা অপরিষ্কার ঘরের মেঝেয় আমার জামাকাপড় জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। এরপরই আমি মেজাজ হারাই। সকলের সামনেই জিনিসটি নিয়ে কথা বলি। পরেরদিনও অন্য দুই সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করি। কোনও আপত্তি করিনি। সেদিন শুট শেষ হতে অনেকটা রাত হয়। তবুও আমাকে কোনও ডিনার অফার করা হয়নি। প্রত্যেক দিনই কিছু না কিছু অব্যবস্থা!”

[আরও পড়ুন: ব্যোমকেশের পর ফেলুদা চ্যালেঞ্জ নিতেও প্রস্তুত দেব! ‘সত্যবতী’ সত্য জানালেন রুক্মিণী]

এরপরই তৃণার সংযোজন, “কই আমি তো সম্প্রতি রিঙ্গোদার সঙ্গে আউটডোর শুট করলাম। সেখানে মেকআপ রুম তো দূরঅস্ত! রাস্তাঘাটে টয়লেট করতে হয়েছে। সেখানে কোনও আপত্তি করিনি কারণ তাঁরা একজন শিল্পীকে প্রাপ্য সম্মানটা দিতে জানে। এটা ঠিক যে আমি সেদিন চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ফ্লোর ছেড়ে বেড়িয়ে আসি।”

সোহিনী সরকারের সঙ্গে কি সত্যিই ইগোর লড়াই? এপ্রসঙ্গে তৃণার মন্তব্য, “ইগোর লড়াই কেন থাকবে! ও কী সুবিধে পাচ্ছে তাতে আমার কিচ্ছু যায়-আসে না! আমার শুধু নিজের প্রাপ্যটুকু পেলেই হল। এসবের মাঝেই ও হঠাৎ করে আর্টিস্ট গ্রুপে মেসেজ করল। নাম না করলেই কি যা ইচ্ছে তা লিখে দেওয়া যায়? তাই ওকে ক্ষমা চাইতে বলি। কিন্তু প্রোডাকশন জানায়, ও ক্ষমা চাইবে না। এরপর পরিচালক, প্রযোজকরা আমাকে বলতে থাকেন- মানিয়ে নে… ভুলে যা…. অসম্ভব মানসিক চাপের সৃষ্টি করা হচ্ছিল। আমার কোনও দোষ নেই অথচ আমাকে মানিয়ে নিতে হবে! ওই নেটিবাচক পরিস্থিতিতে কাজ করা সম্ভব ছিল না। অগ্রীম পারিশ্রমিকও ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা জানায়, ওটা আমার দিন তিনেকের কাজের পারিশ্রমিক। যা ঘটল তা আমার জন্য বড় একটা শিক্ষা।”

তারপরও কাজ করতে চেয়ে প্রযোজনা সংস্থাকে মেইল করেছিলেন তৃণা। সেখানে বেশ কিছু শর্ত দেন তিনি। তাদের তরফে জানানো হয় ওই শর্তগুলো মানা সম্ভব নয়। এরপরই তৃণার পরিবর্তে রোশনি ভট্টাচার্যকে কাস্ট করা হয়েছে। তৃণার অংশগুলো আবার শুট হবে।

[আরও পড়ুন: বাংলার নাম যেন না ডোবাই, মাথায় ছিল: টোটা রায়চৌধুরী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement