সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় ফের তৃণমূলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও। তাঁর বক্তব্য, ‘ত্রিপুরাতেও খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে।’
মহামারী আইনে মামলা দায়ের করলেও প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) দলের সদস্যদের বুধবারই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, তাতেও ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তৎপরতা কমাচ্ছে না। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই আগরতলায় পৌঁছেছেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien)। আগরতলার হোটেলে গিয়ে তিনি ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেই হোটেলেই দলের স্থানীয় নেতাদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা ছিল এরাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূলের অভিযোগ, কোভিড বিধির অভিযোগ তুলে সেই সাংগঠনিক বৈঠকেও বাধা দিয়েছে আগরতলা পুলিশ। পুলিশের দাবি, কোভিড বিধি না মেনে ওই হোটেলে ৫০ জনের বেশি জমায়েত হয়েছিল। যদিও, শেষ পর্যন্ত ওই সাংগঠনিক বৈঠকের অনুমতি পেয়ে যান তৃণমূল নেতারা।
[আরও পড়ুন: I-PAC: BJP বিরোধিতার ঝাঁজ বাড়াতে ত্রিপুরায় Derek O’ Brien, কড়া সমালোচনা মোদি সরকারের]
সাংগঠনিক বৈঠক শেষে ডেরেক ও’ ব্রায়েন BJP-কে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেন,’ত্রিপুরাতেও খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই তৃণমূলে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করেছেন। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা পৌঁছালেই তাঁদের নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখানে গুজরাট মডেলে শাসন চলছে। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। দিল্লির নির্দেশে পিকের টিমের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছিল।’ এদিকে এদিন সকালেই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে এসেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।তাহলে কি বিপ্লব দেবের রাজ্যে নরম হিন্দুত্বের নীতি নিয়ে এগোতে চাইছে শাসক শিবির? সে প্রশ্নও উঠছে। আপাতত নজর রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisek Banerjee) সফরের দিকে। শুক্রবার রাজ্যে পা রেখেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে পারেন।