স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের আট জেলা, ৬০টি বিধানসভা। পাহাড় থেকে সমতল। ত্রিপুরার সর্বত্র রাখিবন্ধন উৎসব পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বঙ্গে তৃণমূল এই উৎসব পালন করে আসছে অনেক দিনই। কিন্তু ত্রিপুরার নির্বাচনকে (Tripura Polls) সামনে রেখে একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। ঠিক হয়েছে দলের ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে আগামিকাল, রবিবার রাখিবন্ধনের দিন একেবারে রাস্তায় নেমে অকাতরে রাখি বিলোনো হবে। পথচলতি সকলকে হাতে হাতে পরিয়ে দেওয়া হবে রাখি।
সদ্য সে রাজ্য থেকে যোগদান কর্মসূচি করিয়ে ফিরেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে গিয়েছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। সম্প্রতি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) যাওয়ার কথা। বস্তুত, ত্রিপুরায় সবরকমভাবে দলকে নানা কর্মসূচির মধ্যে রাখতে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: ১৫১ দিনে সর্বনিম্ন দেশের অ্যাকটিভ কেস, টিকাকরণে বিশ্বরেকর্ড মুম্বইয়ের]
সদ্য সেখানে তিন দফায় নানা কর্মসূচি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। একেবারে শেষ পর্বে দুই সাংসদ দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দাররা দলের ‘খেলা হবে’ দিবসের (Khela Hobe Diwas) কর্মসূচি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন। মারাত্মক জখম হন দোলা সেনের আপ্তসহায়ক। তার মধ্যেই বড় আকারে কর্মসূচি করা হয়। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল সাংসদরা। এর পরের কর্মসূচি হিসাবেই রাখিবন্ধন (Rakhi) উৎসবকে সামনে রাখা হচ্ছে।
তবে এই কর্মসূচিতে কলকাতা থেকে কারা যাবেন, তা এখনই পরিষ্কার করা হয়নি। ক’দিনের মধ্যে আবার যাওয়ার কথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীর। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার তৃণমূল শীর্ষনেতা আশিসলাল সিং জানিয়েছেন, দলকে লাগাতার কর্মসূচির মধ্যে রাখতে হবে। আর ছাত্র-যুবদের গ্রহণযোগ্যতা সব থেকে বেশি। তাঁদের মাধ্যমেই সংগঠনের বিস্তারও হয় সব থেকে বেশি। ছাত্র রাজনীতিই মূল রাজনীতির ভিত। তাই তাঁদের মাধ্যমেই এই কর্মসূচি হবে। থাকবে দলের অন্য স্তরের নেতৃত্বও।