shono
Advertisement

এলাকার কাউন্সিলর কেমন, পুরবাসীদের কাছে জানবে তৃণমূল

সেই রিপোর্ট নিয়েই তৈরি হবে কাউন্সিলর ভোটের প্রার্থীতালিকা। The post এলাকার কাউন্সিলর কেমন, পুরবাসীদের কাছে জানবে তৃণমূল appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:38 PM Oct 13, 2019Updated: 02:38 PM Oct 13, 2019

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লক্ষ্য পুরভোট। শত্রু বিজেপি। শারদোৎসব কাটতেই টিম সাজিয়ে রাজ্যজুড়ে সার্ভের কাজ শুরু করছে তৃণমূ্‌ল। তবে শুধু দলের কর্মী নয়, তৃণমূলের রিপোর্ট নিতে এবার পুরবাসীর কাছেও যাবে রাজ্যের শাসকদল। একদিকে পাড়া, অন্যদিকে বুথ, দু’মুখী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ব্লক সভাপতিদের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছে এলাকার চারটে রাস্তার নাম এবং সেই রাস্তা বরাবর বাড়ি ও ওই পুরসভার পাঁচজন অধিবাসীর নাম। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা সর্বাধিক ২০। তার সঙ্গেই জেলা সভাপতিদের কাছে বুথপিছু তিন জন করে দলীয় কর্মীর নাম চেয়ে পাঠিয়েছে নেতৃত্ব।

Advertisement

বছর ঘুরলেই পুরসভা ভোট। দলীয় সংগঠনের তরফে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সর্বস্তরে দল প্রস্তুত। প্রস্তুত কাউন্সিলররাও। ভোট যখনই হোক, প্রচারে নেমে লোকের আত্মবিশ্বাস জয় করে সেই আস্থা ভোটব্যাংকে প্রতিফলিত করতে পারবেন দলের নেতা-কর্মীরা। মূলত শহরে এই ধরনের আত্মবিশ্বাসের কথা শোনা যাচ্ছে। সত্যিই তার ফলাফল ভোটে প্রতিফলিত হবে কি না, তা পরীক্ষা করতেই এই সার্ভে। এবং এই কারণেই দলের কর্মীদের কথায় ভরসা না করে পুরবাসীদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার কাজ হবে। তাঁরা দলের সমর্থক হতেও পারেন বা না-ও পারেন। তবে কোনওভাবেই কর্মী নন। দলের কর্মী হলে দলের প্রতি আনুগত্য থাকবে। সেই অবস্থায় দল বা এলাকার কাউন্সিলর সম্পর্কে সঠিক তথ্য নাও মিলতে পারে। যে আত্মবিশ্বাস বিজেপিকে ফের অক্সিজেন দিতে পারে।

সে কারণেই এমন ভাবনা। দলের কাউন্সিলর বা স্থানীয় কোনও নেতা সম্পর্কে মানুষের কী ধারণা, কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তার কারণ কী, তারই রিপোর্ট নেওয়া হবে সাধারণ পুরবাসীর কাছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই পুরবাসীদের নামের এই তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট নিয়েই তৈরি হবে কাউন্সিলর ভোটের প্রার্থীতালিকা। শহর বা পুরনিগমের ক্ষেত্রে এভাবেই সার্ভের পরিকল্পনা হয়েছে। বুথভিত্তিক তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে জেলা নেতৃত্বের কাছে। শহরাঞ্চলে ব্লক প্রতি বুথ রয়েছে সর্বাধিক ৮০টি। সেখানে গ্রামাঞ্চলে প্রতি ব্লকে ২০০ থেকে ৩০০ বুথ রয়েছে। ছোট পুরসভার ক্ষেত্রে জেলা সভাপতিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মী বাছাইয়ের। বুথপিছু সেই কর্মীর তালিকা দিতে বলা হয়েছে।

তাদের একজোট করে বার্তা দিয়ে উৎসবের মরশুম শেষ হতেই নতুন কর্মসূচিতে নামানো হবে। শহর হোক বা গ্রাম, প্রতিটি ক্ষেত্রেই মানুষের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হবে দলকে। তাতে প্রচারে নামার আগেই মিলবে সার্বিক ধারণা। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, “উৎসবের মরশুম কাটলেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। দলীয় কর্মীরা রিপোর্ট দিয়ে বলেছেন তাঁরা ভোটের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আদৌ তাঁরা কতটা প্রস্তুত তা যাচাই করা হবে। এবং সে কারণেই পুরবাসীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে হবে তার পরীক্ষা। তাতেই দলের অবস্থা নিয়ে প্রকৃত ছবিটা পরিষ্কার হবে।”

দলের নতুন এই কর্মসূচির ঘোষণা হতে পারে কয়েকদিনের মধ্যেই। আগামী ১৫ অক্টোবর তৃণমূল ভবনে জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতিদের বৈঠকে ডেকেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। থাকতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেখানেই দলের এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

The post এলাকার কাউন্সিলর কেমন, পুরবাসীদের কাছে জানবে তৃণমূল appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement