ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। রবিবারই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন সুব্রত বক্সী।
দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) টানাপোড়েনের একেবারে শুরু থেকেই প্রাক্তন মন্ত্রীর পাশে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডা। বারবার প্রকাশ্যেই সমর্থন করেছিলেন শুভেন্দুকে। আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলকে, মুখ্যমন্ত্রীকে। উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, প্রয়োজনে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা। শনিবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আক্রমণ করে তিনি বলেন, “দিদির সব কিছু ঢপ। দিদির স্বাস্থ্যসাথী ঢপ। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনও টাকা নেই। দিদির যা ঋণ আছে ঢেকে দিলেও ঋণ শোধ হবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন শুভেন্দুকেই দরকার। আর ত্যাগ বলতে গেরুয়া।” তাঁর এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তবে কি দলবদলের হাওয়ায় তিনিও গা ভাসাতে চলেছেন তিনিও? অস্বস্তি বাড়ে শাসকদলের।
[আরও পড়ুন: ‘পিকের টিমকে পাত্তা দিই না’, তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন ‘বেসুরো’ ময়নাগুড়ির বিধায়ক]
এই পরিস্থিতিতে রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানালেন কনিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা। তাঁর কথায়, দল বিরোধী কাজে যুক্ত থাকার কারণেই এই বহিষ্কার। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের কারণেই দলের এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বাঁকুড়ার এক নেতাকে সাসপেন্ড করে দল। তাঁর বিরুদ্ধেও দলবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছিল শাসকদল।