অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: এবার বেসুরো হাওড়ার (Howrah) প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল নেতা রথীন চক্রবর্তী। লক্ষ্মীরতন শুক্লা পদত্যাগ করতেই দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। বৈশালী ডালমিয়ার সুরে সুর মিলিয়ে বললেন, “দলটা একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
বুধবার রথীন চক্রবর্তী বলেন, “আমার বারবার মনে হয়েছে এখানে কোনওভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। কয়েকটা লোক সবটা কুক্ষিগত করে রাখছে। তাঁদের একটাই কাজ, সেটা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নয় বরং দুর্বল করা। নিজেদের হাজারো দোষ তা না দেখে অন্যের নামে বলে বেড়াচ্ছে।” এরপরই বৈশালী ডালমিয়ার ‘উইপোকার মতো দলে থেকে দলটাকে নষ্ট করছে কিছু মানুষ’, এই মন্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, “দলটা কুড়ে কুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।” অভিযোগ করেন, হাওড়ার মানুষ বঞ্চিত। তাঁর কথায়, “শেষ ১০ বছরে হাওড়ায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। এবিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে কোনওকিছু জানিয়ে কোনও লাভ নেই। ওরা পাথর। ওদের জানানো আর দেওয়ালকে জানানো এক।” পাশাপাশি, লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ দলের ক্ষতি, এমনটাই বলেন রথীনবাবু।
[আরও পড়ুন: তালিকায় ভোটার বাড়লেই কমিশনকে খতিয়ে দেখার আবেদন জানান, পরামর্শ স্বপন দাশগুপ্তর]
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকমাস ধরেই তৃণমূলের (TMC) বিরোধিতায় সুর তুলছেন দলেরই নেতা-কর্মীরা। দলের বিরুদ্ধে, নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। হিড়ির পড়েছে দলত্যাগের। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পথে হেঁটে ইতিমধ্যেই একাধিক বিধায়ক ও এক সাংসদ দল ছেড়েছেন। অনেকের সুরই জল্পনা বাড়াচ্ছে যে হয়তো দলত্যাগ করতে পারেন তাঁরাও। গতকালই বিধায়ক বাদে বাকি সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তা নিয়েও শুরু হয়েছে কানাঘুষো। যদিও মুখ্যমন্ত্রী যদিও স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন , খেলার কারণেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই মন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে বেসুরো আরও এক নেতা।