সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনেক টানাপোড়েনের পর আসন্ন তিন উপনির্বাচনেও একসঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর – তিন কেন্দ্রের আসন সমঝোতা হয়েছে এই মর্মে যে করিমপুর আসনটিতে প্রার্থী দেবে বাম। তাঁকেই সমর্থন করবে কংগ্রেস। আর বাকি দু’টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন বামেরা। এই ২:১ সমীকরণে কংগ্রেস ও বামেদের জোট বেঁধে লড়াইকেই তুমুল কটাক্ষের মুখে ফেললেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা তৃণমূল শীর্ষ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
আগামী ২৫ নভেম্বর রাজ্যের তিন বিধানসভায় উপনির্বাচন। তৃণমূল ও বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত করতে একে অপরের হাত ধরেছে সিপিএম ও কংগ্রেস। ফলে লড়াই কার্যত ত্রিমুখী। বিজেপির পাশাপাশি এই জোটকে কতটা শক্তিশালী বলে মনে করছে শাসক শিবির, এই প্রশ্নের উত্তরে মুহূর্তের মধ্যেই জোটকে গুরুত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন। বললেন, ‘কংগ্রেস, সিপিএম কাউকে নিয়েই কোনও মাথাব্যথা নেই। জোট হলেও যা ফল হবে, না হলেও তাই হবে। ওরা জোট করেছে, ওদের নিজেদের সুবিধার জন্য। একা একা হারাটা যত না লজ্জাজনক, একসঙ্গে হারলে তো সেই লজ্জা নেই। একসঙ্গে মরার আনন্দই তো আলাদা।’
[ আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরে কোনও বাঙালি মারা যায়নি’, বিতর্কে পড়ে মন্তব্যের সাফাই দিলীপের]
তাঁর এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট তৃণমূল শিবিরের কাছে এই জোট কতটা গুরুত্বহীন। এই জোটকে গুরুত্ব না দিলেও, নিজেদের ফলাফল নিয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী নন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল তিনে তিন পাবে। না পেলেও কিছু তো হাতে থাকবেই।’ এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এদিন জানিয়েছেন, করিমপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন সিপিএম প্রার্থী গোলম রাব্বি। বাকি দুই কেন্দ্র – কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদরের কেন্দ্র পরে ঘোষণা করবে কংগ্রেস।
[ আরও পড়ুন: খুনের পর ভাইপোর দেহ ফ্রিজে লোপাট কাকার! মাছ বাজারে হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়]
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে বাম-কংগ্রেসের যা শক্তি, হাত ধরাধরি করে লড়াই করলেও একটিতেও দাঁত ফোটাতে পারবে না। লড়াই কার্যত হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূল বনাম বিজেপির।
The post ‘একসঙ্গে মরার আনন্দই আলাদা’, বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ সুব্রতর appeared first on Sangbad Pratidin.