সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচারপর্বের শেষদিন ত্রিপুরায় ঝড় তুলল শাসক-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আগামী ১৬ তারিখ ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার বিকাল ৪টে পর্যন্ত প্রচার করার সুযোগ পেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি থেকে বাম-কংগ্রেস জোট, নিজেদের সেরা অস্ত্রগুলিকে প্রচারে নামিয়ে দিয়েছে রাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি। বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplob Kumar Deb)। বামেদের হয়ে প্রচার করেছেন জিতেন চৌধুরী, মানিক সরকাররা। কংগ্রেসও নামিয়েছে সুদীপ রায়বর্মন, আশিস সাহাদের।
তবে এসবের মধ্যে আলাদা করে নজর কাড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। এরাজ্যের একাধিক সেলিব্রিটি তৃণমূল নেতাকে দেখা গেল ত্রিপুরার (Tripura) ভোটপ্রচারে। সেই সঙ্গে ব্রাত্য বসু, ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মতো দাপুটে নেতাদেরও দেখা গেল শেষদিনের প্রচারে। সাংবাদিক বৈঠক, পথসভা, রোড শো- শেষদিনের প্রচারে সকাল থেকে সবকিছুই করতে দেখা গেল তৃণমূলের নেতা-প্রার্থীদের।
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমদিবস কাটাতে ‘বাধা’, স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে কাঠগড়ায় স্বামী]
এদিন সকালেই দলের সদর দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন এরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। দাবি করেছেন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার ব্যর্থ। ব্রাত্য এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী-সহ গোটা মন্ত্রিসভা বদলেছে। ওনারা ভূমিপুত্রদের ওপর ভরসা করছেন না। তাই দিল্লি থেকে আসছেন বারবার। বোঝাচ্ছেন, ছোট ইঞ্জিন ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু বড় ইঞ্জিন ব্যর্থ হবে না।” ব্রাত্যর দাবি,”হিন্দিবলয়ে ওদের ভোট কমেছে। সেটা পূরণ হতে পারে সেভেন সিস্টার থেকে। তাই এটাকে পাখির চোখ করতে চাইছে। আসলে ২০২৪ তাকিয়ে আছে।”
[আরও পড়ুন: রীতি বহির্ভূত কাজ করলে প্রতিক্রিয়ার ভাষা বদলাবে, রাজ্যপাল নিয়ে অবস্থান বদলের ইঙ্গিত তৃণমূলের]
ব্রাত্যর সাংবাদিক বৈঠক শুধু নয়, এদিন পথে নেমেও প্রচার করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। নুসরত জাহান, ফিরহাদ হাকিম, সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh), সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়রা শেষ মুহুর্তের প্রচারে হাওয়া তুলতে রোড-শো করেছেন। আগরতলার রাজপথে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে হেটে প্রচার করেছেন নুসরতরা। ফিরহাদ হাকিম, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা ছোট ছোট পথসভাও করেছেন।